তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া হাটের কোটি টাকা মূল্যের জায়গায় অভিনব কায়দায় জবর দখল করে পাকা (স্থাপনা) ঘর তৈরি করছেন পৌর মেয়র ইমরুল হকের অনুসারী যুবদলের দুই নেতা। এরা হলেন তানোর পৌর এলাকার কুঠিপাড়া মহল্লার আনেসের পুত্র তানোর পৌর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আতিকুর রহমান লিটন ও একই গ্রামের আমজেদ আলীর পুত্র যুবদর নেতা ফটিক আহম্মেদ।ঘর নির্মানের সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদাররা একাধীকবার তানোর ভূমি অফিসে অবহতি করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে ভূমি অফিসের বাবুরা যুবদলের এই দুই নেতার ঘর নির্মান বন্ধ করেননি এবং তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। এঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসীসহ গোল্লাপাড়া হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা প্রত্যক্ষদর্শি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গোল্লাপাড়া বাজার ফুটবল মাঠে দক্ষিনের বিল কুমারী বিলে যাওয়ার রাস্তা সংলগ্ন গোল্লা পাড়া হাটের কোটি টাকা মুল্যে বিশাল জায়গা টিন দিয়ে চারদিকে ঘিরে রেখে গত ১০ দিন থেকে রাতের আধাঁরে এবং ছুটির দিনগুলোতে পাকা (স্থাপনা) কয়েকটি দোকান ঘর ও যুবদলের কার্যালয় নির্মান করছেন।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠ সংলগ সড়কের উপর ইট ও বালী রেখে ওই রাস্তা সংলগ্ন উত্তরে গোল্লা পাড়া হাটের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বিশাল জায়গা দখল করে টিন দিয়ে ঘিরে রেখে ভিতরে কয়েকজন লেবার ইট দিয়ে কয়েকটি পাকা ঘর নির্মানের কাজ করছেন। এসময় সেখানে উপস্থিত যুবদল নেতা ফটিক তিনি বলেন দীর্ঘ দিন ধরে জায়গাটি দখলে রেখে মালামাল রাখা হয়। এজন্য ভিতরে ইটের দেয়াল ও মেঝে প্লাস্টার করা হচ্ছে। কার অনুমতি বা ভূমি অফিস থেকে লীজ নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়ী লীজ কেন লাগবে বলে দম্ভক্তি দেখান তিনি।তার সাথে কথা চলা অবস্থায় আসেন যুবদল নেতা লিটন, তিনি এসেই বলেন, আর বেশিদিন সময় নেই, ক্ষমতায় বিএনপি আসা মাত্রই শুধু এই জায়গা না আরো জায়গা দখল করা হবে বলে তিনিও ব্যাপক দাপটের সাথে দম্ভক্তি দেখান।ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেকে সরকারী নিয়মে ডিসিআর কেটেও দোকান ঘর করতে পারছেন না, আর এরা কোন নিয়ম না মেনে শুধু ক্ষমতার দাপটে পাকা ঘর তৈরি করছেন। ফটিকের দোকানও আছে। তারপরও লোভ সামলাতে পারছেন না।
ভূমি অফিসের কতিপয় সুবিধা বাদীদের মোটা টাকার বিনিময়ে এসব করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে অহরহ। তানোর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার লুৎফর রহমান বলেন, তারা নাকি এসিল্যান্ড স্যারের কাজ থেকে অনুমতি নিয়েছেন। অনুমতির বিষয়ে আপনি কিভাবে জানলেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, যারা ঘর করছে তারাই বলেছে, তারা কি কোন কাগজ দেখিয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি এত কিছু বলতে বাধ্য না। ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আমানত আলী বলেন, তাদের ঘর নির্মান কাজ বন্ধ করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার ভূমি আদিবা সিফাতের সাথে মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।