নিজস্ব প্রতিবেদক: প্লাস্টিকের ভয়াবহতা, প্লাস্টিক ও পলিথিনের কারনে পরিবশের বিপর্যয়, জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাণবৈচিত্র্য ও মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা আজ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পলিথিনের কারনে সবুজ উন্নয়নে বাঁধা হতে পারে আমাদের সবুজ শহর রাজশাহী নগরীর। এমনকি প্লাস্টিক ও পলিথিনের কারনেই ধ্বংস হতে পারে আমাদের দেশ ও বিশ্বের প্রাণবৈচিত্র্য। চারিদিকে সর্বগ্রাসী প্লাস্টিক ও পলিথিনের রাজত্ব, এ যেন আমাদের সমস্ত জীবকুল ও পরিবেশের দখল দারিত্ব নিয়ে নিচ্ছে। প্লাস্টিক ও পলিথিনের এই ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে এবং এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে সোমবার সকাল ১০ টায় উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক ও বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যৌথ আয়োজনে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে রাস্তা অবরোধ করে প্লাস্টিক ধর্মঘট পালিত হয়। প্রতিকী এ প্লাস্টিক ধর্মঘটে বিভিন্ন ফেস্টুন ও প্লেকার্ডে প্লাস্টিক তাঁর নিজের ভয়াবহতার কথা জানান দেয় এবং একই সাথে প্লাস্টিক ও পলিথিন প্রতিকী হিসেবে ১০ মিনিট রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
প্লাস্টিক এ ধর্মঘটে রাজশাহীর বিভিন্ন তরুণ সংগঠনের প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজ অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক এবং এর ভয়াবহতার নানা দিক সম্মিলিত লিখা প্লেকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে দাড়িয়ে বক্তব্য দেন। অংশগ্রহণকারি বক্তরা বলেন- প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মনুষ্যসৃষ্ট নানা উন্নয়ন দূর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব, যুদ্ধ, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার পাশাপাশি বিশ্ব আজ প্লাস্টিক দূষণ ও প্লাস্টিকের জন্য ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি। প্লাস্টিকের জন্য আজ প্রাণবৈচিত্র্যসহ আমাদের সুন্দর পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি প্লাস্টিকের কারনে মানব স্বাস্থ্য মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে। একই সাথে জনজীবন ব্যাপকভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। প্লাস্টিক সমগ্র দুনিয়াকে গ্রাস করছে, দুনিয়ায় যেন বিধ্বংসী প্লাস্টিকের রাজত্ব চলছে। প্লাস্টিকের জন্য পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে, চারিদিকে প্লাস্টিকের জন্য নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড়-বাওড় এমনকি আমাদের এই সুন্দর নগরের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। বারসিক’র গবেষক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন – ‘ইউনাইটেড নেশনস’র পরিবেশ কর্মসূচির এক যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, নব্বই শতাংশ পাখি এবং মাছের পাকস্থলী থেকে প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। সেখানে আরো জানা যায় পৃথিবীতে প্রায় আটশত সামুদ্রিক প্রজাতির মধ্যে এ নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের দেহে প্রবেশের কারণে ব্রেইন ড্যামেজ, অবিসিটি, ক্যান্সার, ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ, এ্যাজমাসহ নারীর বন্ধ্যাতের¡ মারাত্বক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
রাজশাহী পরিবেশ আন্দোলন ও ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মাহবুব টুনকু বলেন- পরিবশে সুরক্ষায় আইন করা হয়, কিন্তু সেই আইনের প্রয়োগ আমরা দেখতে পাইনা, মহামান্য আদালতের নিষেধ সত্বেও নির্বাচনগুলোতে যাচ্ছে তাই প্লাস্টিক পলিথিন ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি নির্বাচনী আইনে প্রচার প্রচারণাসহ সব ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ও পলিথিন বন্ধের দাবি জানান।