নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ২১ তারিখ ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে মডেল ও ডিজিটাল ওয়ার্ড গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুই বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো:নুরুজ্জামান টুকু।
সোমবার রাতে (রাসিক) ০৬ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী টুকু বলেন, আমি পরপর দুইবার নির্বাচিত হয়েছি। আমার ওয়ার্ডবাসী আমাকে দুইবার নির্বাচিত করেছে। অদ্যবর্তী পর্যন্ত আমি কাউন্সিলরের দায়িত্বে আছি। আগামী ২১ তারিখ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের যে নির্বাচন, সে নির্বাচনে আমি আবারও প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আরও দুইজন প্রার্থী আছে। আমি গত ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে আমার সম্মানিত নাগরিকদের আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। সে প্রতিশ্রুতিগুলো আমি ৯৫ ভাগ পূর্ণ করতে পেরেছি। বাকি ৫ ভাগ শুধুমাত্র ঠিকাদারের অবহেলা আর তাঁর কিছু গাফিলতির কারণে কয়েকটা রাস্তাঘাট করতে পারিনি এ জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এছাড়া জনগণের কাছে আমার যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল সেগুলো আমি সবই করতে পেরেছি।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল, রাজশাহী টিবি হাসপাতাল সংলগ্ন দুইটা পুকুর আছে। যেহেতু এই শহরের পুকুরগুলো প্রায় বন্ধের পথে এবং সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে দুইটি পুকুর কে সংরক্ষণের যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তারই অংশ হিসেবে আমার এ দুইটি পুকুরও দৃষ্টিনন্দন ভাবে বাঁধানো হবে। যা ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি শতভাগ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। শতভাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে আমার ইচ্ছা আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি এই স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে আমার ওয়ার্ড কে কিভাবে খাপ খাইয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে পরিকল্পনা আমার আছে। আমাদের যে কর্মসংস্থানের অভাব। সেই কর্মসংস্থানের জায়গার বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে যে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলে আমাদের যুবকরা ও তরুণরা কাজ করতে পারবে। সে পরিকল্পনাগুলো এবার আছে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমার নাগরিকরা বিগত দিনগুলো আমাকে যেভাবে নির্বাচিত করেছে আগামী ২১ তারিখের নির্বাচনে তারা আমাকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে আবার নির্বাচিত করবে।
তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্য বলেন, আমার সম্মানিত নাগরিকরা আগামী ২১ তারিখের নির্বাচনে তাঁরা যদি আবার আমাকে নির্বাচিত করে, তো আমি ইনশাল্লাহ এই ত্রিশটি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম আমার ওয়ার্ডটিকে মডেল ও ডিজিটাল ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করতে পারব এবং স্মার্ট বাংলাদেশের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারবো। যেভাবে সরকার স্বপ্ন দেখে আমরা সে স্বপ্নের স্মারথী হতে চাই।
জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, আমার নাগরিকরা বিগত দিনগুলো আমাকে যেভাবে নির্বাচিত করেছে আগামী ২১ তারিখের নির্বাচনে তারা আমাকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে আবার নির্বাচিত করবে।
আমি এলাকার মাদক, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এসব কাজে ওয়ার্ডের জনগণের সবসময় সমর্থন পেয়েছি। বিগত সময়ে আমার ওয়ার্ডের জনগণকে কি দিতে পেরেছি, কি দিতে পারিনি, তা আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিনে এলাকার মানুষ মূল্যায়ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।