সারোয়ার হোসেন,তানোর: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সহ ডিজিএফআই,এনএসআইসহ বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এমপি মন্ত্রীসহ সাবেক ও বর্তমান নেতাদের নিজ নিজ এলাকাজুড়ে কেমন জনপ্রিয়তা ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে চলছে তার চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ। প্রতিনিয়ত প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা হচ্ছে এমপি মন্ত্রী ও হেভিওয়েট নেতাদের আমলনামা। এতে করে রাজশাহী-১আসনের বর্তমান তিন বারের সফল এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর উপরে এখনো কেউ জনমত গড়ে তুলতে পারেনি। বরং এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে গিয়ে কেন্দ্রের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন বগি নেতারা।
অন্যদিকে সর্বশেষ জরিপে রাজশাহী-১তানোর-গোদাগাড়ী আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আবারো বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকেই মনোনয়ন দেয়ার জন্য চুড়ান্ত সিন্ধান্ত গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড বলে আওয়ামী লীগ দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এতে করে এমন খবরে দলকানা ভূয়া মনোনয়ন প্রাত্যাশী নেতারা রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা হয়ে ঢুকতে শুরু করেছে ঘরে।
তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না জানান, তানোর গোদাগাড়ী আসনে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছেন তাঁরা প্রকৃত আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মী হলে তা কখনোই করতে পারতেন না। তাঁরা হয়তো ভুলে গেছেন, দলের দূর্দিনে তানোর গোদাগাড়ী তথা রাজশাহী জেলা জুড়ে বিএনপির দাপটে কেউ মিটিং মিছিল হরতাল পালন করার সাহস পেতেন না,তখন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বিএনপির হাত থেকে আওয়ামী লীগের হাতে রাজনীতির মাঠ দখল নিতে শুরু করেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী হরতাল মিছিল গণসমাবেশ।
আর যখন ধীরে ধীরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠতে শুরু করলো, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দিলেন। অথচ বর্তমানে কিছু দলকানা বগি নেতারা দিনরাত এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশা করে আওয়ামী লীগের সম্ভাবনাময় গোছানো মাঠ নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে নেমেছে। যার প্রতিটি এমপি বিরোধী কর্মকান্ডের আমলনামা কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েছে।
তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো কেউ সফল হতে পারেনি, বরং ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে বার বার ষড়যন্ত্র কারিরাই লেজ গুটিয়ে ঘরে ঢুকেছে। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যতই কুচক্রী মহল চক্রান্ত করুক না কেন, এখানো তানোর-গোদাগাড়ীতে এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর বিকল্প কোনো নেতৃত্ব গড়ে উঠেনি, আর গড়ে উঠারও সেই সম্ভবনাও নাই।