নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডে ৮০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকী ২০ শতাংশ অসম্পূর্ণ কাজ আবারও নির্বাচিত হলে সম্পূর্ণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন লাটিম প্রতীকের বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মোমিন।৭ জুন ( বুধবার) দুপুরে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটা জানিয়েছেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মোমিন তাঁর লাটিম প্রতীকে আবারও ভোট চেয়ে বলেন, ওয়ার্ডবাসী চাইলে আমি আবারও নির্বাচিত হবো ইনশাআল্লাহ। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। গতবার নির্বাচনে জয়লাভের পর আমিসহ প্রতিটি কাউন্সিলর মাত্র আড়াই বছর সময় পেয়েছে কাজ করার। এতো অল্প সময়ে পুরো রাজশাহী সিটির উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে দু বছর উন্নয়ন কাজ পিছিয়ে যায়। তবু্ও আমার ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, ড্রেনসহ ছোট বড় অনেক কাজ সম্পুর্ণ করা সম্ভব হয়েছে। ওয়ার্ডের নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছিয়ে দিয়েছি। করোনাকালে ওয়ার্ডবাসীকে ৪০ টন খাবার নিয়ে তাদের পাশে সর্বদা ছিলাম। এছাড়াও ১২০০ জনকে ২৫০০ টাকা করোনা কালীন সরকারি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডে শতভাগ করোনা ভ্যাক্সিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে আবারও নির্বাচিত হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষে কাজ করবেন। ইতিমধ্যে তিনি অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষে কাজ চলমান আছে। এবার রাজশাহী সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী লিটন ভায়েরসহ আমাদের সবার স্লোগান একটাই, “উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান”। সিটিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে প্রতিটি ওয়ার্ডের বেকার শিক্ষিত তরুণ যুবকের কর্মের ব্যবস্থা হবে। আমি নিজে থেকেও ওয়ার্ডে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে উদ্যোক্তা তৈরিতে কাজ করবো।
জনপ্রিয় তরুণ এই কাউন্সিলর প্রার্থী আরও বলেন, আমার ওয়ার্ডে লাইভ ভেরিফিকেসন ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২৬৪ জনকে বয়স্কভাতা প্রদান করা হয়েছে। একই পদ্ধতিতে ১১৫ জন প্রতিবন্ধীকে ভাতা প্রদান করা হয়েছে। শিশুভাতা পেয়েছে ৪২ জন। নিজ তহবিল ও সিটি করপোরেশন থেকে বরাদ্দ থেকে ৭ হাজারের উপরে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সিডিসির মাধ্যমে দারিদ্রতা হ্রাস ও অসহায় মানুষের জীবন মান উন্নয়ন হয়েছে প্রায় ২০০ পরিবারের। ওএমএস কার্ড বিতরণ করা হয়েছে ১০০০ পরিবারের মাঝে। ১৪৬৪টি পরিবারকে টিসিবি’র কার্ড দেওয়া হয়েছে।
ওয়ার্ডবাসীর দোরগোড়ায় নাগরিক সেবা পৌছিয়ে দেওয়া হেবিওয়েট কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল মোমিন আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও ড্রেন মেরামত, গলিপথ আলোকায়ন, গোরস্থান সংস্কার, ঈদ গাঁ নির্মাণ, স্বপ্ন-চূড়া প্লাজা, মশক নিধন, পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থা, ১০০% ডিজিটাল জন্মনিবন্ধনসহ শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে।
এতো অল্প সময়ে এতো বেশি কাজ করা সম্ভব নয়, তবুও চেষ্টা করেছি। ওয়ার্ডবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে আগামীতেও অসসম্পূর্ণ কাজ সম্পুর্ণ করতে চাই। সকলের কাছে আবারও দোয়া চাই, যোগ্য প্রার্থীর জন্য ভোট চাই।
কথা বললে ওয়ার্ডের প্রবীণ নাগরিকরা বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ওয়ার্ডের উন্নয়ন এখন চোখে পড়ার মতো। কাউন্সিলর অফিস থেকে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই নাগরিক সেবা পাওয়া যায়।