সারোয়ার হোসেন : মোহনপুরের কেশরহাট বাজার বনিক সমিতির নির্বাচনের আগের দিন রাতে অসৎ উপায়ে ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে ছাতা মার্কার বিতর্কিত সভাপতি পার্থী সাবের আলীর বিরুদ্ধে। বুধবার (৭ জুন) রাতে এমন অভিযোগ আনেন সভাপতি পদে দেয়াল ঘড়ি মার্কার প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রার্থী ফিড ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বাবুল।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ছাতা মার্কার সভাপতি প্রার্থী সাবের আলী ভোটারদের ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি আমার কর্মিদের টাকার বিনিময়ে ভোট বানিজ্যের প্রলোভন দেখাচ্ছেন। তিনি কেশরহাট বাজারের বিতর্কিত এক ব্যক্তি। তিনি প্রকাশ্যে তার মার্কা ছাতা হওয়ায় ভোটারদের একটি করে ছাতা বিতরণ করে ভোট বানিজ্য করেছেন।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, আমারা কোন দখলবাজকে ভোট দিতে চাইনা। যারা অসহায় মানুষদের জমি জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে নিজের বলে দাবি করে, যারা সরকারি জমি জবরদখল করে আমরা তাদেরকে এই সম্মানিত পদের দেখতে চাইনা। আর যারা নবগঠিত বনিক সমিতির উন্নয়নে কাজ করবে, ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াবে আমরা তাদেরকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবো।
এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় জুড়ে কেশরহাট পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলর বাবুল হোসেনকে নিয়ে তিনি ভোটের প্রচারণা চালিয়েছে। বাবুল হোসেন বাজারের কোন ব্যাবসায়ী না, তিনি ইতিপূর্বে তার রাজনৈতিক বক্তব্যের একাংশে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বেজেছে। এমন লোকের সঙ্গে নিয়ে ডাকাতি মামলার আসামী হয়েছে এ সাবের। সাবের নির্বাচিত হলে বিএনপির নেতা বাবুলের মাধ্যমে বিএনপির কর্মকান্ডের সার্বিক বিষয়ে অর্থ দান ও বিএনপি জাতীয় রাজনীতি চাঙ্গা করবেন।
ভোটারদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই সাবের রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে সিএনবি জায়াগায়ও বাজারের জায়গায় অবৈধ ভাবে দখলকৃত সম্পদের দোকানপাট রক্ষার পাশাপাশি তিনি বাজারটি দখল করে কেশরহাট নামটি পরিবর্তন করে সাবের হাট নামে আখ্যায়িত করবেন বলে সভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে সভাপতি প্রার্থী সাবের আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার আজ অনেক টাকার দরকার সেই টাকা সংগ্রহে ব্যস্থ আছি। এখন কোন কথা বলার সময় নাই।