নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী মহানগরীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী এক স্কুলছাত্রী’র গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা মামলার মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি’র পবা থানা পুলিশ। আসামি তার অপরাধের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো আরএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে একথা জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মো: রিফাত রহমান হৃদয় (২১)। সে রাজশাহী মহানগরীর পবা থানার পূর্ব পুঠিয়াপাড়া নদীর ধারের মো: দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর পবা থানার বরইকুড়ি গ্রামের এক স্কুল ছাত্রীকে আসামি হৃদয়-সহ তার বন্ধুরা প্রায়ই বিরক্ত করতো ও প্রেমের প্রস্তাব দিতো।
গত ১ জুন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ দুপুরে সেই ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষা শেষে তার বান্ধবীদের সঙ্গে নওহাটা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিল। এসময় হৃদয় ও তার দুই সহযাগী সেই ছাত্রীকে রাস্তার পাশে যেতে বলে। ওই স্কুলছাত্রী যেতে অস্বীকার করলে আসামি হৃদয় তার মুখে পেট্রোল নিক্ষেপ করে এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ওই স্কুলছাত্রী’র চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। তখন হৃদয় ও তার দুই সহযোগী মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পেট্রোল নিক্ষেপের কারণে ওই ছাত্রীর গলা ও কপালে ক্ষত হয়। ওই স্কুল ছাত্রীর বাবার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাচন দমন আইনে একটি মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু পরবর্তীতে আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ্মখদুম) মো: নূর আলম সিদ্দিকীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহ্মখদুম) এ.এইচ.এম আসাদ হোসেনের নেতৃত্বে পবা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজ, তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: আশিক ইকবাল, এস আই সামীম ও তার টিম আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতে পবা থানা পুলিশের ওই টিম বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাত ১২:২০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর বাড্ডা থানার সামালপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি হৃদয়কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করলে আসামি তার অপরাধের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।