নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শনিবার বিকেলে মালদা কলোনী ঈদগাহ মাঠে ও কয়েরদাঁড়ায় পৃথক ২টি পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর গণসংযোগ ও পথসভায় মানুষের ঢল নামে। এ সময় রাজশাহীর উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার অনুরোধ জানান মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
পথসভায় মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজকে মালদা কলোনী মাঠে মানুষের ঢল নেমেছে। এই একই চিত্র রাজশাহী নগরীজুড়ে। আমরা যেখানেই যাচ্ছি, সেখানে নৌকার পক্ষে মানুষ দলে দলে অংশ নিচ্ছে।
সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত ৫ বছরের মধ্যে আমি মাত্র আড়াই বছর কাজ করতে পেরেছি। কারণ করোনা মহামারি, এরপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি, ডলারের সংকট ইত্যাদি কারণে আড়াই বছর কাজ করা সম্ভব হয়নি। মাত্র আড়াই বছরে যে কাজ করেছি, সেটা দৃশ্যমান। সারাদেশের মানুষ রাজশাহীর ভূয়শী প্রশংসা করছেন, যিনি বেড়াতে আসেন, তিনিই মুগ্ধ হয়ে যান। এই অর্জন ধরে রেখে রাজশাহীকে আরো সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহীতে এখন যে কাজটি বাকি আছে, সেটি হলো কর্মসংস্থান। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে এক নম্বরে আছে কর্মসংস্থান। রাজশাহীতে শিল্পকারখানা নাই বললেই চলে। যদি এখানে ১০ থেকে ২০টি কারখানা থাকতো তাহলে আপনাদের ছেলে-মেয়েদের কর্মের চিন্তা করতে হতো না। এবার আপনারা যত বেশি ভোটে আমাকে জয়যুক্ত করবেন, আমি তত বেশি জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারবো, রাজশাহীর মানুষ আপনার নৌকাকে বিজয়ী করেছে, এবার আপনি তাদের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করে দেন।
খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় রাজশাহীতে শিল্পকারখানা করতেই হবে। নওদাপাড়া ইতোমধ্যে বিসিক শিল্পনগরী-২ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে বিনোয়োগকারীদের নিয়ে এসে শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা হবে। এছাড়া বেলপুকুরে চামড়া শিল্প পার্কের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটার উন্নয়ন কাজও করতে চাই। পদ্মা নদীপথে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু ও বাণিজ্য আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে শুরু হবে। সেই বাণিজ্যকে আমরা রাজশাহী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত বর্ধিত করতে চাই। রাজশাহীতে নৌবন্দর করতে যাচ্ছি, জায়গা আমরা দেখে রেখেছি। এটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসার হবে, অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। আপনাদের অনেক কষ্ট করে যেতে হয়। ঢাকা থেকে, খুলনা থেকে সরাসরি ট্রেন কলকাতা যায়। সেভাবে রাজশাহী থেকে সরাসরি ট্রেন ও বাস কলকাতা যাবে। এই কাজ অনেক দূর এগিয়ে রেখেছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এটি চালু হবে। রাজশাহীর মানুষের কল্যানে আরো অনেক কাজ বাকি আছে। সেই কাজগুলো করতে চাই।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি নাইমুল হুদা রানা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মুনতাজ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।