নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে হামলার অভিযোগ এনে র্যাব সদস্যের দায়ের করা আলোচিত মামলার নয় আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। রোববার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক মো. মহিদুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় নয় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান আসামী পক্ষের আইনজীবী তানভিরুল ইসলাম জানান।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টুর ছোট ভাই খাদেমুল আলম মাসুম, তার ঘনিষ্ঠজন মাসুদ রানা (১), মাসুদ রানা (২), জাহাঙ্গীর আলম কনক, মনোয়ারুল ইসলাম ডিপলু, সাদি, এন্তাজ, রাসেল ও শাওয়ন।আইনজীবী তানভিরুল ইসলাম বলেন, সাদা পোষাকে থাকা চারজন র্যাব সদস্যের উপর হামলার অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালের ২৬ মে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেন র্যাব-৫ এর হাবিলদার হুমায়ন কবির। মামলায় নয়জনকে আসামী করা হয়। পরে পুলিশ তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চাজসীট দাখিল করে। আদালতে মামলার সাক্ষিদের স্বাক্ষগ্রহন শেষে রোববার রায় ঘোষণা করেন। র্যাবের দায়ের করা অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত মামলার নয় আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।তানভিরুল ইসলাম বলেন, র্যাব তাদের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, সন্ধ্যার দিকে নগরীর কোর্ট স্টেশন বাইপাস এলাকায় দায়িত্বরত অবস্থায় লোহার রড ও মোটা লাঠি দিয়ে চার র্যাব সদস্যের ওপর হামলা করে খাদেমুল আলম মাসুমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। সাদা পোশাকে দায়িত্বরত র্যাব সদস্যরা নিজেদের পরিচয় দেয়ার পরও তাদের কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। এ ঘটনায় র্যাবের চার সদস্য আহত হন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলেও অভিযোগ আনা হয় মামলায়।তিনি আরও বলেন, এই মামলার পর বিপুল পরিমান র্যাব সদস্যরা রাতভর অভিযান চালিয়ে চারজনকে আসামীকে গ্রেপ্তার করে। আর আদালতে আত্মসমর্পন করে অপর আসামীরা। কিছুদিন পর তারা সবাই জমিনে মুক্তিপান। এর পর থেকে সব আসামী জামিনে ছিলেন।
রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে খালাস প্রাপ্ত আসামী জাহাঙ্গীর আলম কনক বলেন, এই রায়ে সত্যের জয় হয়েছে। ওই দিন সেখানে র্যাবের উপর কোন হামলার ঘটনাই ঘটেনি। মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় এক পথচারিকে র্যাব সদস্যরা পিটিয়ে জখম করে। অনেকেই সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু উল্ট তারা আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করে।