বাঘা প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় এগারো বছর বয়সের চতুর্থ শেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্রীর চাচা সাইদুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন। বুধবার (১৪ জুন) সকালে বাঘা থানার পুলিশ শারীর পরীক্ষার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চবরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে।
জানা গেছে, স্কুলে যেতে না চাওয়ায় মঙ্গলবার সকালের দিকে ছাত্রীকে বকাঝকা করেন চাচা সাইদুর রহমান। এতে মন খারাপ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে চকরাজাপুর বাজারে যাতায়াতের পাকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল ওই ছাত্রী। পথি মধ্যে অপরদিক থেকে মোটরবাইকে আসা ৩জন ছাত্রীকে একা দেখে কথা বার্তা বলার এক পর্যায়ে তাকে উদপুর গ্রামের আমানের খালের পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে শিমুল হোসেনে (৩৫) নামের একজন ধর্ষন করে। অপর ২জন- পারভেজ আলী(২৩) ও রকি আহমেদ পাহারা দিচ্ছিল। শিমুল হোসেন পলাশি ফতেপুর গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে। পারভেজ আব্দুল রহিমের ও রকি আহমেদ আসলাম আলীর ছেলে।স্থানীয়রা জানান,ছাত্রীর মা আমেরজান বিবি সৌদি প্রবাসি। পিতা জাহিদুল ইসলাম ঢাকায় রিকসা চালান। ওই ছাত্রী ও তার ছোট ভাই দাদার কাছে থেকে লেখা পড়া করে। মামলার বাদি সাইদুর রহমান জানান,ছাত্রীর মুখে বিষয়টি জানার পর এলাকার লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এর পর তারা আত্নগোপনে চলে যায়। পরে মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে শিমুল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৩জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান জানান, দ্বিতীয় সিপটের ১২ টার ক্লাশে তার স্কুলে আসার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ১০ টার দিকে ঘটনার কারনে স্কুলে আসেনি বলে জানেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার বলেন, দুই সন্তানের জনক শিমুলসহ অপর ২জন পারভেজ ও রকি আহমেদ দিনমজুর। রাজ মিস্ত্রী থেকে যখন যে কাজ পান করেন। আইনের মাধ্যমে ভ’ক্তভ’গি বিচার এবং দোষীরা সাজা পাক, সেটা চাই।সরেজমিন ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে মামলায় অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। শিমুলের বাড়ি ছিল তালাবদ্ধ। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। রকির পিতা আসলাম ব্যাপারি জানান, তার ছেলে শিমুল হোসেনের সাথে কাজ করে। সেই সুবাদে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে জেনেছেন বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে ।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। ছাত্রীর শারিরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। দুইদিন পর আদালতে তোলা হবে। পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।