নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ। বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১৫৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। কেন্দ্রগুলোর আশপাশে নির্বাচনের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বুধবার সকালে মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে এমন পরিবেশের দেখা মেলে। কেন্দ্রের অদূরে বসেছে অস্থায়ী দোকান।
সেখানে ভোটার ও তাদের সঙ্গে আসা ছোট শিশু-কিশোররা দোকানগুলোতে চা, বিস্কুট খাচ্ছেন। এছাড়া ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক প্রার্থী কেন্দ্রগুলোর আশপাশ পোস্টারে ছেয়ে আছে।
এই কেন্দ্রের ভোটার মনি মিঞা বলেন, সকাল ৮টার আগে অনেক ভোটার কেন্দ্রে এসেছে। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরেই ভোটাররা ভোট দিতে শুরু করেছে। এই ভোট অনেকটাই উৎসবের মতোন।
আমাদের এই ওয়ার্ডের কাছাকাছি দুইটা কেন্দ্র রয়েছে। একটা পুরুষ ও একটা নারী ভোট কেন্দ্র। দুই কেন্দ্রের আশেপাশে অস্থায়ী কিছু দোকান বসেছে। ভোটারদের সঙ্গে আসা শিশু-কিশোররা দোকানগুলো বিভিন্ন খাবার কিনে খাচ্ছেন। তাদের অনন্দ দেখে উৎসবের মতো মনে হচ্ছে।
৬০ বছরের ভোটার মুসলিমা বেগম বলেন, আগে কাগজে (ব্যালট পেপার) ভোট দিয়েছি। এই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেব। শুনেছি ভোট দিতে তেমন সময় লাগে না। তাই সকালেই কেন্দ্রে চলে এসেছি। ভোট দিয়ে বাড়িতে গিয়ে দুপুরের রান্না করব।
জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৫ হাজার ১৯৮ জন। এই ওয়ার্ডটি পশ্চিম বুধপাড়া, নতুন বুধপাড়া, মধ্য বুধপাড়া, বুধপাড়া গণির মোড়, মোহনপুর, মাসকাটাদিঘী, চৌদ্দপাই, মির্জাপুর ও বিনোদপুর নিয়ে।
এই ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে লড়াই করছেন, টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে শহিদুল ইসলাম পিন্টু, ঠেলাগাড়ি প্রতীকে আলাউদ্দিন, কুমড়া প্রতীকে সাইদুর রহমান, ঘুড়ি প্রতীকে আব্দুস সামাদ। এছাড়া তিনজন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৯১ জন। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন।