গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক ব্যবসায় অর্থ যোগানের সহায়তা করার অভিযোগে জামায়াাত নেতা আটক হয়েছেন। চার দিনের রিমান্ডে এনে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জিয়া একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার কথা বলেন।
এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন, উপজেলার উজানপাড়া গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে ও মাটিকাটা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারী সারোওয়ার জাহান (৪৭)। মাদক বিক্রয়ে অর্থযোগান দিয়ে সহায়তা করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জিয়া স্কীকার করেন।ফলে পুলিশ সারোওয়ার জাহানকে রেলগেট বাইপাস এলাকা থেকে আটক করে। বিপুল পরিমাণ হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলায় আটক দেখিয়ে বুধবার জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গোদাগাড়ী মডের থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, আটককৃত জিয়ারুল ইসলাম জিয়া রিমান্ডে থাকা অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে মাদক কারবার সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে। তার কাছে পাওয়া তথ্য গুলি যাছাই-বাছাই করে আরও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এদিকে সাড়ে কেজি হেরোইনসহ জিয়ারুল ইসলাম জিয়া আটক হওয়ার পর এলাকা ছেড়ে অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য যে, বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ হেরোইন, ফেন্সিডিল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ এক মাদক সম্রাটকে আটক আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটককৃত মাদক সম্রাট জিয়ারুল ইসলাম (৩৫) গোদাগাড়ী পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের কসাইপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।সোমবার (১৯ জুন) রাত পৌনে ৪ টার দিকে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।এসময় সাড়ে ৭ কেজি হেরোইন, ১৮ বোতল ফেন্সিডিল, হেরোইন বিক্রির ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ টাকা এবং ২৫৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারকৃত হেরোইনের মূল্য আনুমানিক সাড়ে সাত কোটি টাকা এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণলংকারের মূল্য প্রায় বিশ লক্ষ টাকা।
অভিযানের প্রথম পর্যায়ে জিয়ারুলের বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে তার বাড়িতে বিশাল একটা আধুনিক এবং সুরক্ষিত স্টিলের তৈরি ভল্ট পাওয়া যায়।
ভল্টের চাবির জন্য অনুরোধ করা হলেও জিয়ারুল চাবি না দেয়ায় এবং গোয়েন্দা তথ্য থাকার কারণে ভল্ট ভাঙ্গার জন্য ফায়ার সার্ভিসকে আহ্বান জানানো হয়।
ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে ভল্ট ভেঙ্গে তার ভিতর থেকে বাকি সাত কেজি হেরোইন, ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার নগদ টাকা এবং ২৫৮ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।