আগেই অনেকে বলাবলি করছিলেন এমন কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। কারণ অনেক দিনের রাগ-ক্ষোভের কারণে তামিম এমনিতেই টি-২০ খেলতেন না। তারপর ক্যারিয়ারের পড়তির দিক। আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকার পর এমন একটা ঘোষণা আসতে পারে বলে গুঞ্জন রটে যায়। তবে অনেকে মনে করেছিলেন অধিনায়কত্ব ছাড়বেন। কিন্তু তিনি বিদায় জানিয়ে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। এতে তার সমর্থকরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগে শতভাগ ফিট না হয়েই খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তামিম। গতকাল সে ম্যাচে তিনি খেলেছেনও যাতে বৃষ্টি আইনে হেরেছে বাংলাদেশ। পুরোপুরি ফিট না থাকায় ব্যাট হাতে মাত্র ১৩ রান করেই আউট হয়েছেন তিনি। এদিকে অধিনায়কের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ছিলেন বিসিবি সভাপতি এবং কোচ। এসব নিয়েই দেশসেরা ওপেনারের আলোচনা-সমালোচনায় সরগরম ছিল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। এর মাঝে গতকাল রাতেই টাইগার অধিনায়ক জানিয়েছিলেন আজ দুপুর ১২ টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি। আর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কান্নাভেজা চোখে আজ তিনি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের যাচ্ছেন তিনি।
আজ দুপুর ১ টা ১৫ মিনিটেই নির্ধারিত হোটেলে পৌছান তামিম ইকবাল। শুরু থেকেই দেখা যায় তাঁর চোখে পানি। মিনিট দশেক পর কথা শুরু করেই তামিম জানান, ‘গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচটিই ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার শেষ ম্যাচ। এ সময় বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।’
তামিম শুরুতেই বলেন , ‘নরম্যালি এমন সময়ে যে কোনো ক্রিকেটারই স্পিচ লিখে নিয়ে আসে, কিন্তু এমন কিছু আমি করিনি। খুব দ্রুতই শেষ করবো আমি।’
নিজের বাবার স্বপ্ন পুরণের জন্যই ক্রিকেট খেলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। ’
১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জন্য সতীর্থ, কোচ, বিসিবি, পরিবার ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারের এই দীর্ঘ পথচলায় আমার সব সতীর্থ, সব কোচ, বিসিবির কর্মকর্তাগণ, আমার পরিবার ও যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, নানাভাবে সহায়তা করেছেন, ভরসা রেখেছেন এবং আমার ভক্ত-সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের সবার অবদান ও ভালোবাসায় আমি চেষ্টা করেছি সব সময় দেশের জন্য নিজের সবটুকু উজাড় করে দিতে।’