আমরা তাদের (পাকিস্তান) বলেছি এটা আমাদের পছন্দ হয়নি। তারা জানিয়েছে, তারা কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই ছবি প্রকাশ করেনি।
রোববার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা (পাকিস্তান) প্রত্যেক দেশের পতাকা নিয়ে বিভিন্ন মিশনের পেজে ছবি আপলোড করেছে। শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের মিশনে তাদের অর্ধেক পতাকা, আর সেসব দেশের পতাকার ছবি এক সঙ্গে দিয়েছে।
গ্রাফিক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকাকে একীভূত করে নিজেদের ফেসবুক পেজের কভার ফটোতে দেয়া ছবিটি অবশেষে সরিয়ে নিয়েছে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন।
রোববার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ফেসবুক পেজের কভার ফটো থেকে বিকৃত পতাকাটি সরিয়ে নেয়া হয়। তবে ছবিটি এখনও পাকিস্তান হাইকমিশনের ফেসবুক পেজে রয়ে গেছে।
এদিকে রোববার দুপুরে কাভার পেজ থেকে পতাকা সরালেও ফেসবুক পেজে এখনো আগের আপলোড করা দুই দেশের বিতর্কিত পতাকার ছবি রয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের কভার ফটো হিসেবে আপলোড করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা। সেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা একীভূত করে প্রকাশ করা হয়। তারপর থেকেই সামাজিক গণমাধ্যমে শুরু হয়ে যায় তোলপাড়।
শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনকে ফেসবুক পেজ থেকে পতাকার ছবি নামিয়ে নিতে বলা হয়।
এদিকে পাকিস্তানের ঢাকার হাইকমিশনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।