নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে সহপাঠীর অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে এই অভিযোগে রাজশাহী বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
মমতা নার্সিং ইনস্টিটিউটের এক নারী শিক্ষার্থী। খালি বাসায় মাঝেমধ্যেই প্রেমিককে ডেকে নিয়ে থাকতেন। এক সময় তার সহপাঠী বিষয়টি পরিবারকে জানিয়ে দেয়। এর জেরে ওই শিক্ষার্থী ও তার প্রেমিক অভিযোগকারী সহপাঠীকে পিটিয়ে জোর করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দিয়েছে ইন্টারনেটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী,আয়েশা খাতুন (২০) এবং শ্যামলী খাতুন শিমু নামের তিনজন রাজশাহী নগরীর বালিয়াপুকুর বটতলা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আয়েশার সঙ্গে তামিম ইকবার (২০) নামে এক ছেলের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাড়িতে কেউ না থাকলে আয়েশা তামিমকে মাঝেমধ্যেই ডেকে আনতেন। বিষয়টি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নজরে এলে সে আয়েশার বাবাকে মোবাইল ফোনে তা জানিয়ে দেন। তখন আয়েশার বাবা বিষয়টি নিয়ে বকাবকি করেন।
এর জেরে গত ৭ জুলাই রাতে প্রেমিক তামিমের নির্দেশে আয়েশা ও শ্যামলী তাদের ভাড়া করা বাসায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। এসময় আয়েশা ও শ্যামলীর মারপিটে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং মারধরের ঘটনা কাউকে জানালে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি দেয়।
পরে আয়েশা তার প্রেমিকের মোবাইল ফোনে সেই ভিডিও পাঠালে তামিম তা মমতা নার্সিং ইনস্টিটিউটের অন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়।
মঙ্গলবার মমতা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবু বিষয়টি জানতে পেরে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা করেন। বোয়ালিয়া থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
বোয়ালিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিডিও ধারণ করা মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে।