নিজস্ব প্রতিবেদন: আরএমপি দামকুড়া থানার চরমাজারদিয়াড় এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবু সাঈদ (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে চরমাজারদিয়াড় হাড়ুপাড়া ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সাঈদ চরমাজারদিয়াড় মধ্যপাড়া গ্রামের আমির হোসেন চৌকিদারের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, আরএমপি দামকুড়া থানার চরমাজারদিয়াড় এলাকায় মধ্যপাড়া গ্রামের আমির হোসেন চৌকিদারের ছেলে আবু সাঈদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে শত্রুতা চলছিলো। মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে চরমাজারদিয়াড় মধ্যপাড়া গ্রামে সাঈদের বাড়ি থেকে তার বন্ধু মোস্তফাকে মটোরসাইকেলে করে হাড়ুপাড়া গ্রামে তার বন্ধুর বাড়িতে রাখতে যায়।
তার বন্ধুকে বাড়িতে রেখে সাঈদ একা তার মটোরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় সাঈদ চরমাজারদদিয়াড় হাড়ুপাড়া ব্রিজের কাছে রাত ৯ টার দিকে পৌছালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে প্রতিপক্ষরা চরমাজারদিয়াড় স্কুল পাড়া গ্রামের রাজ্জাক ঘোষের ছেলে শাহিন, কামাল মোল্লার ছেলে কাবিল ও শামসুলের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র কান্তাই, হাসুয়া নিয়ে মৃত সোবহানের ছেলে সাজেমুলে ও তার ভাই ইব্রাহিম,মহিউদ্দিনের ছেলে এনামুল, চরখানপুরের শাজাহানের ছেলে জামাল, রমজানের ছেলে রাজীব, সাহেবের ছেলে হোসাইনসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন সাঈদের পথ রোধ করে হটাৎ সাঈদের পায়ে গুলি করলে সে বাইক থেকে পড়ে যায়। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষরা।
এসময় হামলাকারিরা সাঈদকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে ঘটনা স্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানিয়রা সাঈদের পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তার পরিবারের লোকজন ঘটনা স্থলে গিয়ে গুরতর জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রামেক হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করালে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
নিহত সাঈদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান রামেক হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় আরএমপি দামকুড়া থানায় নিহত সাঈদের স্ত্রী মোসাঃ বিথি বেগম (২৯) বাদি হয়ে ১৯-০৭-২০২৩ ইং রাত্রি
৩ ঘটিকার দিকে নিহত সাঈদের হত্যা কারিদের শনাক্তকারী পাঁচ জনের সাক্ষীর সাথে কথা বলে আসামিদের সনাক্ত করে ও নিহত পারিবারিক আলোচনার মাধ্যমে সাইদ হত্যা মামলায় এজাহারে হত্যাকারী ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের স্ত্রী ।
এ সময় দামকুড়া থানায় আর এম পি সহকারী পুলিশ কমিশনার (পিওএম) সুকুমার মোহন্ত উপস্থিতিতে হত্যা মামলার দায়ের করেন এবং তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারে আরএমপি রাত থেকেই বিভিন্ন অভিযান চলছে বলে জানায়।
এ বিষয় দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত সাঈদের স্ত্রী বাদি হয়ে রাতেই মামলা দায়ের করেছে থানায়। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আমাদের বেশ কয়েকটি পুলিশের টিম অভিযান রাত থেকেই শুরু হয়েছে। আশা করি দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।