নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর মোহনপুরে জোরপূর্বক জমি দখল করে নিতে আইনের ১৪৪ ধারা অমান্য করে মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রভাবশীলরা। আদালত ও থানা পুলিশকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই উপজেলার ধোপাঘাটা বাজারে এ মার্কেট নির্মাণ কাজ হচ্ছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ধোপাঘাটা বাজার সংলগ্ন রাস্তার পাশে জোরপূর্বক জমি দখল করে মার্কেট নির্মানের চেষ্টা করা হলে জমিটির অংশীদার সিরাজুল ইসলাম বাধা দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করে। এসময় তাকে ভয়ভিতি দেখিয়ে মার্কেট নির্মাণ কাজ করতে থাকলে সিরাজুল বাদি হয়ে মৃত কমির সোনারের ছেলে আবুল ও হাতেম, আবুলের মেয়ে নাসরিন, সোহেলের স্ত্রী হাবিবা, হাতেমের ছেলে ইমন, ইসকেন্দারের ছেলে ফিরোজকে বিবাদি করে গত ২২ জুন ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারা আইনে মামলা আবেদন করিলে জেলা রাজশাহীর অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদলাত তা আমলে নেন। পরের দিন ২৩ জুন আদালদের নির্দেশ মোতাবেক মোহনপুর থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৪৪/১৪৫ ধারা আইনে উভয় পক্ষকে শান্তি ভঙ্গ না করে আদালতের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেন। পরিবর্তিতে বিবাদিগণরা আদালত ও থানা পুলিশকে তোয়াক্কা না করেই মার্কেট নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকলে সিরাজুল বিষয়টি পুনরায় এএসআই শফিকুল ইসলামকে অবগত করলে তিনি কয়েকবার নিষেধ করে আসেন। কিন্তু বিবাদিরা জমিটি নিজেদের দখলে আছে ভূমি অফিসকে বোঝাতে মার্কেটের কাজ চালিয়ে যান।
সরজমিনে গত ২১ জুলাই (শুক্রবার) দুপুর ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিবাদিরা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, যার প্রমাণ স্বরুপ ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়। এসময় মামলার বাদি সিরাজুল কাজ বন্ধ করার জন্য সরকারি জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন করলে মোহনপুর থানার দ্বায়ীত্বরত ডিউটি অফিসার তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ থানায় আসতে বলেন। সে দ্রুত মোহনপুর থানায় গিয়ে বিষয়টি অবগত করলে এএসআই শফিকুল ইসলাম তার কাছ থেকে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাবার কথা শুনার পর বিকাল ৫ টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। এসময় তিনি আবারো পরবর্তিতে কাজ না করার জন্য পূর্নরায় নিষেধ করে চলে আসেন।
এবিষয়ে মামলার বাদি সিরাজুল ইসলাম বলেন, তারা সব সময় ক্ষমতা দেখিয়ে আমাদের জমি দখল করে নিতে চাই। আমরা নিষেধ করলে মারধোর করে থাকে, আমি গ্রাম সালিশ মেনে নিলেও তারা মানতে চাইনা। আমি আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরেও আমাদের এ জমিতে তারা কাজ চলিয়ে যাচ্ছে। আদালতের নির্দেশক্রমে ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরেও তারা কাজ করে যাচ্ছেন। বিষয়টি মোহনপুর থানা পুলিশকে জানানো হলে শুধু মাত্র নিষেধ করে চলে যান। পরে গত ২০ জুলাই বাধ্য হয়ে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ আমাকে সহোযোগিতা করতে আসেননি। এতে করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে মার্কেট নির্মানের অনেক কাজ করে নিয়েছেন তারা।
এবিষয়ে মোহনপুর থানায় নতুন যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডল বলেন, আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হলাম। এরপর থেকে সেখানে আর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ করতে দেওয়া যাবেনা। যে যত ক্ষমতাশীল হোকনা কেন আদলতের সিদ্ধান্তের উপরে কেউনা।