নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ বায়া-বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় প্রতিপক্ষদের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এরপর থেকে ওখানকার বাসিন্দারা প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছ ৫টি পরিবার।
রোববার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, জমি দখলকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। শিল্পী নামের এক নারী জমি কিনতে চাইলে সেখানেই এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। প্রতিপক্ষরা সে জমি দখলে নিয়ে বিক্রি করতে দিতে চায় না।
তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার বাবলু, বাবলুর ছেলে সাঈদ আহমেদ টনি, আয়নাল ও তার ভাই আরমের নেতৃত্বে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে এই হামলা চালায়। এসময় তারা জমির বিক্রির বায়নার ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও নয় ভরি স্বর্ণও লুট করেছে। এতেই তারা ক্ষান্ত থাকেনি। বাড়িঘরে আগুন ও লুটও করেছে। তারা হামলা চালিয়ে অনেককে আহত করেছে। কয়েকজন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাও নিচ্ছে। এছাড়াও নারীদের উপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদা পারভীন নামের ভুক্তভোগী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমরা ওই এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছি। প্রতিপক্ষরা আমাদের যাওয়ার জন্য রাস্তাও দেয় না। সেখানকার জমি বিক্রি করে রাস্তা তৈরির কথা শুনে প্রতিপক্ষরা আমাদের উপর হামলা, মারধর, বাড়ি ভাঙচুর ও লুট করেছে। গবাদি পশুও নিয়ে চলে গেছে।’
জমি কিনতে চাওয়া শিল্পী বলেন, গত শুক্রবার জমির বায়না আমি ঢাকা থেকে রাজশাহী আসি। ওইদিন আমি ওই বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় বায়নার বিষয়ে রাতে কথা বলতে যায়। প্রতিপক্ষরা টের পেয়ে এই হামলা চালিয়ে জমির বায়না করা নগদ ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও আমার নয় ভরি স্বর্ণ লুট করেছে তারা। সুষ্ঠু তদন্ত করলে দোষীদেও খুঁজে বের যাবে।
অভিযুক্ত আয়নাল হোসেন বলেন, শিল্পী যে অভিযোগ করছে তা সম্পন্ন তার মনগড়া কথা। তারা শহর থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে এসে আমার চাচার বাড়িতে আগুন দিয়েছে। আমাকে আমার জন্য রাত একটা পর্যন্ত তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা বসেছিল। আমাদের এখানে যে জমি আছে তা এখনও ভাগাভাগি করা হয়নি। উল্টো তিনি দখলে নিতে এই নাটক সাজিয়েছেন।
আরএমপির এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরান আলী বলেন, দুইপক্ষই পাল্টাপাল্টি থানায় অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ পেয়েই ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনও তদন্ত চলছে। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে কয়েকটি পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তবে কাউকে এখনও আটক করা হয়নি। তদন্ত করে অবশ্যই দোষীদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।