নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করেতে গিয়ে ১৬টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নাটোরের জেলা পুলিশ এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের সহযোগীতায় সিরাজগঞ্জ ও পাবনা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে নাটোর পুলিশ লাইনসে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম, এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখিউল ইসলাম, সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আকতারুজ্জামানসহ উধ্র্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, বেশ কিছু দিন আগে সিংড়ার সিংড়াপাড়া গ্রামের ওসমান গনি নামে এক ব্যাক্তির একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় সিংড়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন তিনি।
এরপর পুলিশ চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে গিয়ে চোর চক্রের সদস্যদের সন্ধান পায়। পরে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের সহযোগীতায় সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওসমান গনির মোটরসাইকেলসহ ১৬টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করে।এই অভিযানের সময় চোর চক্রের ৮ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বগুড়ার গাতলী থানার পুরাদহ গ্রামের বাদশা সরকারের ছেলে দুলাল মিয়া (৩৯), টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর থানার মৃত মোজাফ্ফর আলী আকন্দের ছেলে আইয়ুব আলী (৪৫), সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থানার বাতিয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫৩), পাবনা জেলার সৈয়দপুর গ্রামের হিরু খানের ছেলে শামীম খান (২০), একই জেলার কালিনগর গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন (২৬), পাবনার বেড়া থানার বারেঙ্গ গ্রামের শামীম বাবুর ছেলে আল আমিন ইসলাম (২৭), পাবনার পূর্ব শ্রীকন্ঠদিয়া গ্রামের সোলেমান শেখের ছেলে খবির শেখ (২২) এবং পাবনার আকাইকুলা থানার চুলকাটা গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে জিয়াম হোসেন জিম (২০)।গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।