নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় ঝলমলিয়া হাট ইজারাদার নাজমুল ইসলাম সুমনকে (৪৫) কোপানোর মামলায় সাবেক জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ৭ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দেন অভিযুক্তদের মধ্যে ১৪ জন। আদালত ৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আর বাকি ৭ জনকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জামিন না মঞ্জুরকৃতরা হচ্ছেন সাবেক রাজশাহী জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, তয়েবুর রহমান, মাসুদ রানা, মোনায়েম খাঁ, মেহেদী হাসান, মিম হোসেন ও অপর একজন অজ্ঞাত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য, ঝলমলিয়া হাট ইজারার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠু ও হাট ইজারদার নাজমুল ইসলাম সুমনের মধ্যে দ্ব›দ্ব চলছিল। এর জেরধরে গত ৯ জুলাই বিকেলে জিউপাড়া ইউনিয়নের মধুখালি এলাকায় ভুক্তভোগি সুমনকে ছাত্রলীগ নেতা মিঠু ও তার সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন সুমনকে মূর্মুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পরেরদিন ১০ জুলাই ভুক্তভোগির পিতা নজরুল ইসলাম এহিয়া বাদী হয়ে আ’লীগ নেতা আহসানুল হক মাসুদ, পুঠিয়া উপজেলা সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠুসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিবুর রহমান মিঠু (৩৮), তার ছোট ভাই রিপন (৩০) ও সাবেক আহসানুল হক মাসুদের ছোট ভাই জুয়েল রানা (৩৫) কে গ্রেফতার করেন। বর্তমানে উচ্চ আদালতের দেয়া সাময়িক জামিনে রয়েছেন তারা।