রাজশাহীতে কর্মরত এমনকি সারাদেশের গণমাধ্যম কর্মীদের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠবে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব। এখানে ছোট বড় সকল নিবন্ধিত গণমাধ্যম কর্মীরা পাবেন সমান অধিকার। বিভিন্ন প্রেসক্লাব ও সংগঠনে সদস্য পদ বঞ্চিত সকল নিবন্ধিত গণমাধ্যম কর্মীরাই সদস্য পদের সুযোগ পাবেন।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক যে কোন ভাবেই যে কোন সাংবাদিকের প্রতি অন্যায় করা হলে তার পাশে দাঁড়াবে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব। এই প্রতিবেদকের কাছে এরকমই বলছিলেন রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের আসন্ন ১৬ সেপ্টেম্বর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী সাংবাদিক শাহিনুর রহমান সোনা।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনে প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকবে, তবে প্রতিহিংসা থাকবে না। প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে সুস্থ ধারায় এবং এই ধারা অব্যহত থাকবে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের প্রতিটি অগ্রযাত্রায়। আগামী নির্বাচনে রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হলে এ ধারা সমুন্নত ও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে নগরীর শিরোইল বাসটার্মিনাল ও কাঁচাবাজার এলাকার পূবালী মার্কেট এলাকায় নির্বাচনী উৎসব পরিলক্ষিত। পোষ্টার ব্যাণার ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে গোটা এলাকা। রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব নির্বাচনে ১৩ পদের বিপরীতে মনোনয়ন বিতরণ শেষ হয়েছে। সর্বমোট ১৮ জন সাংবাদিক বিভিন্ন পদে তাঁদের মনোমনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিনজন। সভাপতি পদপ্রার্থী শাহিনুর রহমান সোনা ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শামসুল ইসলাম এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত হোসেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করছেন ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল করিম। তিনি ছাড়া আর কেউ এ পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি। অন্যান্য পদের মধ্যে সহসভাপতি পদে আলাউদ্দিন মন্ডল ও আনসার তালুকদার স্বাধীন, সহসাধারণ সম্পাদক পদে আল আমিন হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান জীবন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো: শাহীন সাগর, কোষাধ্যক্ষ পদে মো: ওদুদুজ্জামান সুবাস, দপ্তর সম্পাদক পদে সুলতানুল আরেফিন খান নিহাল, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক পদে রাফিস বিন সরকার পাভেল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে এফডিআর ফয়সাল ও নাজমুল হক। এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে আবুল হাসেম, আকতার হোসেন হীরা, এসএম শফিকুল আলম ইমন এবং আল আমিন পাপন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, সহকারি নির্বাচন কমিশনার পদে রয়েছেন এটিএন বাংলার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার সুজাউদ্দিন ছোটন ও এডভোকেট জ্যোতিউল ইসলাম শাফী। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব পদে দায়িত্ব পালন করছেন রাজশাহী অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মীর তোফায়েল হোসেন। প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দৈনিক রাজশাহীর আলো’র সম্পাদক-প্রকাশক আজিবর রহমান। সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে থাকবেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শ্যাম দত্ত, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক চৌধুরী মাহমুদ হাসান খান ইতু ও মাইটিভি রাজশাহী প্রতিনিধি শাহরিয়ার অন্তু। নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান আলী বরজাহান, রাজশাহী মহানগর জাসদ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, রাজশাহী মহানগর সিপিবি সাধারণ সম্পাদক অজিত কুমার মন্ডল, রাজশাহী মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী এবং চ্যানেল আই সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আবু সালে মোহাম্মদ ফাত্তাহ ।
এছাড়াও নির্বাচনের দিন পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে কর্মরত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও রাজশাহীর প্রথিতযথা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।