নিজে শুধুমাত্র ধূমপান ও মদে আসক্ত। কিন্তু বিভিন্ন নতুন ধরণের মাদক নিয়ে গবেষণা করেন ওনাইসী সাঈদ ওরফে রেয়ার সাঈদ (৩৮)। কুশ, হেম্প, মলি, ফেন্টানলের মতো মাদকর চাষ ও বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে তাপ নিয়ন্ত্রণ গ্রো-টেন্টও তৈরি করেছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ‘মাদক বিজ্ঞানী’ সাঈদকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আমেরিকায় পড়াশোনা করার সময় নতুন মাদকে আগ্রহ জন্মে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক জানান, নতুন বিভিন্ন মাদকের প্রতি আগ্রহ থেকেই সাইদ এসব নিয়ে অধ্যায়ন ও গবেষণা শুরু করেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুসারে উন্নত দেশে সরবরাহের জন্য তিনি নিজের বাসায় কুশ প্ল্যান্টের ফার্ম তৈরি করেন। টেস্ট অ্যান্ড ট্রায়াল হিসেবে মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাটে তাপ নিয়ন্ত্রণ গ্রো-টেন্ট পদ্ধতিতে চাষ শুরু করেন। প্রথমবার এ প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ৪০০ গ্রাম কুশ কুশ উৎপাদন করেন। এসব মাদক তিনি গ্রাম প্রতি ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
তিনি আরও বলেন, সাঈদের অপ্রচলিত মাদক প্রচলন করার উদ্দেশ্য ছিল পুরোটাই বিজনেস পারপাস। ফেন্টানল আফিমের চেয়ে ৪০ থেকে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী। আর কুশ মারিজুয়ানার চেয়ে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি শক্তিশালী। সাঈদ গবেষণা করে বের করেছেন কোন মাদক কোন পার্টিতে ভালো যায়। সে হিসেবে তিনি তার সার্কেলে মাদক সরবরাহ করতেন।
তার কাছ থেকে একটি ডায়রি উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে তার মাদক নিয়ে গবেষণার বিষয়ে বিস্তারিত লেখা রয়েছে। কোন মাদক কোন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে, কীভাবে কোন পরিমাণে সেবন করতে হবে ওই ডায়রিতে এসব লেখা রয়েছে।