রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিভাগের সভাপতির কক্ষ সহ বিভাগের অফিস কক্ষ এবং পরীক্ষা কক্ষে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেছে ২০১৭–১৮ শিক্ষাবর্ষের ওই শিক্ষার্থীরা।
এর আগে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ার প্রতিবাদে আজ সকালে তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু দুপুর ১২ টায় ওই বর্ষের ১৩ জনকে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করে বিভাগের শিক্ষকরা। এতে অন্য শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পরীক্ষা কক্ষে তালা লাগিয়ে দরজার সামনে অবস্থান নেয়। এসময় তারা ওই কক্ষের জানালার কাচঁও ভাঙচুর করে।
এ সময় তারা মাস্টার্সের পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করা, সকল শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে নতুন করে মাস্টার্স পরীক্ষা ঘোষণা করা, ক্লাসের জন্য নির্ধারিত সময়সূচির তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধা বিবেচনা না করে শিক্ষকদের খেয়ালখুশিমত ক্লাস নেয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করাসহ ৭ টি দাবি তুলে ধরেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বৈষম্য করে ডিস কলেজিয়েট দেখিয়ে তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনকে পরীক্ষা দিতে দিচ্ছে। কিন্তু তাদের মধ্যেও ৯ জন নন কলেজিয়েট। আমাদের ক্লাস না নিয়ে একদিনে ১৫–২০ দিনের এটেনডেন্স দেয়। আমাদের কোনো সিলেবাস দেয় নি।
তারা আরও অভিযোগ করেন, সভাপতি বিএনপির রাজনীতি করে, কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি ক্লাস বাদ দিয়ে ঢাকায় বিএনপির সম্মেলনে যান। আমাদের ফিল্ড ওয়ার্কের টাকা দিয়ে দেশের বাইরে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান। এ সময় তারা পরীক্ষা স্থগিত না করা হলে ৩১ জনই আত্মহত্যা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় তারা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এর প্রায় আধা ঘন্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ এবং প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যদের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারা ক্লাস না করায় ডিস কলেজিয়েট হয়েছে এজন্য তাদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয় নি।
ছাত্রলীগ করায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন বিষয়টি মিথ্যা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এটা তাদের একাডেমিক বিষয়। তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে।