প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো পারস্পরিক সুবিধার জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পাশাপাশি মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের জন্য নেপালকে প্রস্তাব দিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে নেপালের সফররত সংসদীয় প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেপাল আমাদের মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নেপালের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নেপালের ফেডারেল পার্লামেন্টের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারপারসন পবিত্র নিরুওলা খারেল।
বাংলাদেশ সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তুলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলো বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে।
বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক সুবিধার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুসংহত করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে সমর্থন করায় নেপালের নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, নেপালসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাকে তার সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
প্রধানমন্ত্রী নেপালী প্রতিনিধিদল ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বাংলাদেশ সংসদ পরিদর্শন করা এবং বহু কাঙ্খিত পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার প্রেক্ষিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকের শুরুতে নেপালের প্রতিনিধি দল তাদের জন্য চমৎকার কর্মসূচি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন যে, নেপাল ও বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক উপভোগ করে আসছে। তারা উল্লেখ করেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপনের জন্য এ বছরটি উভয় দেশের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
তারা আশা প্রকাশ করেন যে, দু’দেশ বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, পর্যটন, শিক্ষা, আইসিটি, সংযোগ এবং জনগণের সাথে যোগাযোগের মতো খাতে তাদের সহযোগিতা আরো সুসংহত করতে পারে। তারা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফরের ওপর জোর দেন।
প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রশংসা করেন, যাকে তারা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক বলে অভিহিত করেন।
নেপালি প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংসদ সদস্য চাঁদতারা কুমারী এমপি, ড. দীপক প্রকাশ ভট্ট এমপি, দেব প্রসাদ তিমলসেনা এমপি, লীলা দেবী সিতৌলা এমপি, নারদ মুনি রানা এমপি ও সরলা কুমারী যাদব এমপি।