সম্মেলনে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের পুরাতন কমিটিকে বিলুপ্ত করে নতুন ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়। নতুন কমিটিতে অনিল গজার (উরাও) কে সভাপতি, শীত কুমার উরাওকে সাধারণ সম্পাদক এবং মনিকা মারান্ডীকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। নতুন কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি নকুল পাহান।
সম্মেলনে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নকুল পাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক রঘুনাথ এক্কা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অজিত মুন্ডা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাবিত্রী হেমব্রম, সাধারণ সম্পাদক তরুন মুন্ডা, বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি সুজন রাজভর, সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি চৈতন্য সিং, পাবনা জেলা কমিটির আহবায়ক অপূর্ব সিং, সুশান্ত মাহাতো, আইচন পাহান, ব্রিটিশ সরেন আদিবাসী গাইবান্ধা প্রতিনিধি।
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিস (আইবিএস)’র অধ্যাপক ড. স্বরোচিষ সরকার এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া, উদ্বোধন করেন রাজশাহীর বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান আলি বরজাহান।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আদিবাসীদের উচ্চ শিক্ষায় এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীসহ সকল সরকারি চাকরিতে ৫% কোটা সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। আদিবাসীদের আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতি দিতে হবে। আমাদের সংসদে আদিবাসী প্রতিনিধি নিশ্চয় করতে চাইলে আদিবাসীদের বৃহত্তর আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। আদিবাসীরা তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এখনো পায় নি। ভুমি কমিশনের দাবি দীর্ঘদিনের। অন্যদিকে আদিবাসীরা দ্রুুত তাদের ভূমি হারাচ্ছে, বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি আদিবাসী মাতৃভাষায় শিক্ষাব্যবস্থা চালু হলেও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আদিবাসীদের এই সমস্যাগুলোর সমাধান একমাত্র আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই সম্ভব। বক্তারা বলেন, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের নতুন কমিটি এই আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করতে পারবে। আদিবাসীদের কোটার সংরক্ষন ও বাস্তবায়নের আন্দোলন আদিবাসী শিক্ষার্থীরাই করতে পারবে।