November 29, 2024, 11:33 pm

News Headline :
রাজশাহীতে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, ঢাকায় ৬০০!

রাজশাহীতে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, ঢাকায় ৬০০!

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে দফায় দফায় দাম কমলেও রাজশাহীতে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। নগরীর সাহেব বাজার, নিউমার্কেট, শালবাগান, নওদাপাড়া, বিনোদপুর, লক্ষ্মীপুর বাজারে ৭৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। সুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি হয় বলে এখানে দাম বেশি জানান ব্যবসায়ীরা।

গরুর ব্যবসায়ীরা জানান, রাজশাহীতে দাম কমানো সম্ভব না। বেশি টাকা দিয়ে গরু কিনে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে। শুক্রবার চাহিদা বেশি থাকে। এদিন মাংস বিক্রি করে আমাদের সারা সপ্তাহ চলতে হয়। আমাদের দামও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তাই দাম কমানো সম্ভব না।

সাহেববাজার এলাকায় গরুর মাংস বিক্রেতা কোরবান আলী বলেন, হাট থেকে গরু কিনে নিয়ে আসি। প্রতি রোববার ও বুধবার সিটি হাট বসে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গরু কিনে নিয়ে আসতে হয়। গরুর দাম বেশি হওয়ায় আমরা কমাতে পারছি না।

নগরীর সাহেব বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকালে একটি টিভি চ্যানেলে দেখলাম ঢাকায় মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। কিন্তু বাজারে এসে দেখে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক পয়সাও দাম কমাতে রাজি না তারা। যদি ঢাকায় কম দামে বিক্রি হয় তাহলে রাজশাহীতে কেন বিক্রি হবে না?

আলেয়া বেগম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সপ্তাহে একবারই গরুর মাংস কেনা হয়। কিন্তু এ মাংসও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবকিছু দাম কমলেও মাংসের কমছে না। সিন্ডিকেট ক্রেতাদের পকেট কাটছে।

রাজশাহী কৃষি বিপণন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও বাজার মনিটরিং কর্মকর্তা আফরিন হোসেন বলেন, ঢাকায় দাম কমলেও রাজশাহীতে মাংসের দাম কমছে না। শুক্রবারও এ দামে বিক্রি হয়েছে। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, কয়েকদিন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু শুক্রবারে মাংসের দাম বেড়েছে। আমরা দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করবো। একই সঙ্গে অভিযানও পরিচালনা করবো।

বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ১১০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও এ সপ্তাহে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

এছাড়াও করলা ৪৫ টাকা, কচু ৭০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০, শসা ৫০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, সজনে ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ও ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা। পাতিহাঁস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা। এ সপ্তাহে মুরগির লাল ডিম ৫২ টাকা হালি, সাদা ডিম ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা। এছাড়া সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা হালি, লাল ডিম ৪৪ টাকা হালি।

প্রতিকেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ৩০০ টাকা, রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, কই ৫৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, শিং ৬০০ টাকায়, বোয়াল ৭৫০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.