বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মাংস বিক্রির দ্বন্দ্বে প্রকাশ্যে দিবালকে খোকন হোসেন নামে এক মাংস ব্যবসায়ীর হাতে খুন হয়েছে মামুন হোসেন নামে অপর এক মাংস ব্যবসায়ী। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার আড়ানী হাটে এই ঘটনা ঘটে। মৃত মামুন হোসেন আড়ানী পৌরসভার পিয়াদাপাড়া গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামুন হোসেন (৩০)শনিবার আড়ানী হাটে গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছিল। এ সময় একই গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে খোকন হোসেন(৩৫) তার পাশেই মাংস বিক্রি করছিল। হটাৎ করে কাষ্টমার ঢাকা নিয়ে দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ঘটনার এক পর্যায় খোকনের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তিনি মামুনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেয়ার সময় বানেশ্বর নামক স্থানে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
এ বিষয়ে খোকনের ব্যবসায়ীক পার্টনার আবদুস সালাম ও রফিকুল ইসলাম জানান, মামুন ও খোকন পরস্পর মামাত-ফুফাত ভাই। তারা দু’জন একসাথে মাংসের ব্যবসা করতেন। কিছুদিন আগে তারা ব্যবসা আলাদা করেছেন। শনিবার তারা দু’জন পাশাপাশি মাংস বিক্রি করছিল। এর মধ্যে খোকন ৭০০ টাকা এবং মামুন ৬৫০ টাকা কেজি হিসেবে মাংস বিক্রি শুরু করে। এ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে শতশত মানুষের মাঝে প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মামুনকে আহত করে খোকন। পরে হাসপাতালে নেয়ার সময় মামুন মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে মামুনের ছোট ভাই মানিক হোসেন বলেন, তারা ব্যবসা আলাদা করার পর থেকে খোকন বিভিন্ন সময়ে মামুনকে হুমকি দিয়ে আসছিল। আমাকে আমার ভাই মামুন কয়েকদিন আগে বিষয়টি অবগত করেছে। যেহেতু আমরা পরস্পর আত্নীয় এ কারনে থানায় কোন জিডি করিনি।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মোবাইল শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌছেছি। তবে বর্তমানে ঘাতক খোকন পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আটক করার চেষ্টা চালাচ্ছি। লাশ পোষ্টমর্টামের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।