নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌর বাজারে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী (চাল) মজুত করার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও চাল নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য কর্মকর্তাদের যৌথ অভিযানে কেশরহাট বাজারের ভাই ভাই স্টোর এর মালিকে ১ হাজার টাকা জরিমানাসহ অবৈধভাবে মজুদ্কৃত ৫ টন চাল ২ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
জানা যায়, সারাদেশে চালের সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করছে কিছু অসাধু চাল ব্যবসায়ী। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা এর তত্ত্বাবধানে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নূর নবী ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া মঙ্গলবার সকাল থেকে মোহনপুর থানা পুলিশের এএসআই সিরাজুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। উপজেলার কামারপাড়া বাজারে অভিযান পরিচালনা শেষে কেশরহাট বাজারে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অভিযানে এসে ভাই ভাই স্টোরে বিপুল পরিমানে চাল মজুত রয়েছে বলে নিশ্চিত হোন তারা।
এসময় আবু সাইদের দোকানে মজুতকৃত ১৫ টনের স্থানে ৫৯ টন চালের সন্ধান মিলে যায়। উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য কর্মকর্তা অতিরিক্ত ৪৪ টন চাল নিলামে বিক্রির স্বীদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কেশরহাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সাদ আক্কাস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিঠুসহ আরো অনেক। তারাসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা গিয়ে ভাই ভাই স্টোরের মালিক আবু সাঈদের জন্য অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস ২০ টন চাল বিক্রির স্বীদ্ধান্ত নিলে কেশরহাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ীরা আকুতি দেখিয়ে আবারো অনুরোধ করেন ও পরবর্তিতে নির্ধারিত চালের বেশি না রাখার শর্তে ১ হাজার টাকা জরিমানাসহ দোকানে অবৈধভাবে মজুতকৃত চালের ৫ টন চাল নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে সহোযোগিতা করেন।
সে সময় ৫ টন চাল বাজার মূল্য ও মান নির্ধারণ করে ২ লাখ টাকায় বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যান খাদ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস বলেন, সারাদেশে পর্যাপ্ত পরিমানে নতুর ধান উৎপাদন হয়েছে। এরপরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চালের দাম বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের উদ্যোশ্যে চাল মজুত করে চালের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের দমন করে ভোক্তাদের ন্যার্য মূল্যে চাল ক্রয় নিশ্চিত করতে আমাদের এ অভিযান। আগামীতেও আমাদের এ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।