নিজস্ব প্রতিবেদক: আবাসন ব্যবসার নামে প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজশাহীর গ্রীণ প্লাজা রিয়েল এ্যাস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজুর রহমান উপশহর এলাকার আ: রকিবের ছেলে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে রাজশাহী মহানগর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে অনেকগুলো প্রতারণা অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে একটি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ মামলায় অন্য আরো দুজন আসামী হলেন, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রীমা থানার হাজরাপুকুর নিউ কলোনীর এলাকার মৃত মুন্টু’র ছেলে শাহরিয়ার সুজন (৪০), দড়িখরবোনা এলাকার মৃত হাসুর ছেলে নাঈম (৩২)।
সোমবার রাতে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে বারো লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন এজাজুল হক নামে এক ব্যক্তি। এজাজুল জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার দিয়াড় মানিক চড়ের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
এজাজুল হক অভিযোগ করেন তার নিকট একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে ১২ লাখ টাকা নেন মোস্তাফিজ। কিন্তু তিনি ওই ফ্লাটটি না দিয়ে উল্টো এজাজুলকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সমস্ত কাগজপত্র জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গ্রীণ প্লাজা রিয়েল এ্যাস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর গ্রীণ প্যালেস” নামীয় ৭ম তলা বিশিষ্ট ভবনের (২য় ফ্লোর ৩য় তলার) নং-C-2 ফ্ল্যাট ১৭২০ বর্গফুট ফ্ল্যাট ক্রয় করার মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয় ক্রেতা এজাজুল হক।। চুক্তি অনুযায়ী মোট মূল্য ৫৫ লাখের মধ্যে ১২ লাখ টাকা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে ক্রেতা এজাজুল অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়াতে চলে যায়। উন্নত চিকিৎসা শেষে ফিরে এসে ক্রেতা দেখেন তাঁর অনুপস্থিতিতে চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করিয়া উক্ত ফ্ল্যাটটি অন্যত্র বিক্রয় করে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
পরে বাদী গত ২০ তারিখে অলকার মোড় গ্রীণ প্লাজা রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর “চেম্বার অব কমার্স” এর ৬ষ্ঠ তলা ১নং বিবাদীর অফিসে যান। বিবাদীর নিকট চুক্তিকৃত ফ্ল্যাট বুঝিয়ে চাইলে উক্ত ফ্ল্যাটসহ প্রদানকৃত নগদ অর্থ ফেরত দিবে না মর্মে সাফ জানিয়ে দেন। এরপর ১নং আসামীর অফিসে কর্মরত ২নং ও ৩নং বিবাদীদ্বয় সহ ০১নং বিবাদী তাকে বিভিন্ন
প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে তাহার অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।