রাস্তার বেহাল অবস্থায় চরম দূর্ভোগে গ্রামবাসী, আমরা পৌরসভার নাগরিক বলতে লজ্জা লাগে। রাস্তার প্রায় জায়গায় সলিং করা ইট উঠে ভয়ানক গর্ত হয়ে আছে অসংখ্য জায়গায়। আমরা কৃষক ফসল তুলতে পারি না। আবার কাউকে জরুরী ভাবে মেডিকেলে নিতে হলে কোন গাড়ী আসে না। অনেককে রাস্তায় মরতে হয়েছে।
তানোর
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার হাসনাপাড়া গ্রামের একমাত্র রাস্তার চরম বেহাল অবস্হা হয়ে পড়ে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই গাড়ী তো দুরে থাক পায়ে হেটে চলাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বিগত নয় দশ বছর ধরে রাস্তাটির এমন করুন অবস্হা হয়ে থাকলেও কোন নজর নেই মেয়র বা পৌর কর্তৃপক্ষের। যার কারনে ওই গ্রামের পাচশো থেকে সাতশো জনসাধারণ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন। অথচ উপজেলার গ্রামীণ রাস্তাগুলো চকচক করলেও পৌর এলাকার প্রায় গ্রামের রাস্তার এমন করুন অবস্হার সৃষ্টি হয়ে আছে। তবে আশার কথা রাস্তাটি পুনরায় সলিং কাজের টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু নয় দশ বছর আগে সলিং করা হয়েছিল। ফলে কার্পেটিং রাস্তার দাবি তুলেছেন গ্রামবাসী।
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্ডুমালা পৌর এলাকার হাসনাপাড়া গোরস্হান থেকে দিঘিপাড়া পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি সলিং করা হয় নয় দশ বছর আগে। তারপর থেকে রাস্তাটির দিকে কোন নজর দেন নি পৌর কর্তৃপক্ষ। গ্রামে যাওয়ার পর বৃষ্টি হয়। কোনভাবেই বাইক চালিয়ে আসা যায় নি। এমনকি ঠেলেও কষ্ট করে অনেকের সহযোগিতায় মুল রাস্তায় আসা যায়। তখন জুম্মার আযান দেওয়ার সময় হয়ে গেছে। অনেক মুরুব্বিরা মসজিদে যাচ্ছেন খালি পায়ে টিপেটিপে। কারন পানি হলেই মারাত্মক পিচ্ছিল হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, আমরা পৌরসভার নাগরিক বলতে লজ্জা লাগে। রাস্তার প্রায় জায়গায় সলিং করা ইট উঠে ভয়ানক গর্ত হয়ে আছে অসংখ্য জায়গায়।আমরা কৃষক ফসল তুলতে পারি না, অন্য রাস্তা, নচেৎ অধিক খরচ দিতে হয়। আবার কাউকে জরুরী ভাবে মেডিকেলে নিতে হলে কোন গাড়ী আসে না। অনেককে রাস্তায় মরতে হয়েছে।
কথা হয় ওই গ্রামের চাকুরী জীবি রানার সাথে তিনি জানান, গ্রামের লোকজন একাধিকবার মেয়রকে বলেছে, কিন্তু কোন গুরুত্ব নাই। আমি বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে আসি। কিন্তু বাইক মোড়ের উপরে রেখে বাড়িতে আসতে হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভার রাস্তার করুন অবস্হা হলে ভাগ্যের চাকা বদল হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষের।
মেয়র সাইদুর রহমান জানান, রাস্তাটি পুনরায় সলিং করার জন্য টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে।