July 4, 2025, 8:46 am

News Headline :
রাজশাহী প্রেসক্লাবের কথিত সভাপতি ‘জুলু’ সেনা অভিযানে গ্রেফতার রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটিতে আওয়ামীলীগের দোসরদের অপসারনের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান রাজশাহী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হলেন গোলাম মোস্তফা মামুন রাজশাহীতে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা দলের নেতাকে লাথি, এনসিপির রাজশাহীর যুগ্ম সমন্বয়কারীকে অব্যাহতি রথ মেলায় এবার যুবদল সদস্য সুইটের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ বরিশালে রিক্সা চালকদের মাঝে ছাত্রনেতা মাসুম’র রেইনকোর্ট বিতরণ বিভাজন নয়, সাংবাদিকতা হোক একতার হাতিয়ার রাজশাহীর তাহেরপুরে এক শিশুকে গণধর্ষণ
রাজশাহীতে এবার পৌর মেয়র এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

রাজশাহীতে এবার পৌর মেয়র এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

 

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, গত এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর তিনি বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিয়ের প্রলোভনে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র আর আমাকে চাকরি দেবে না ও বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যার কারণে মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর পুঠিয়ার পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের বিরুদ্ধে আরও এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে থানা-পুলিশ ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সোমবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে মেয়র আল মামুন পলাতক রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী (২৪) পুঠিয়া সদর এলাকার একজন কাঠ ব্যবসায়ীর মেয়ে। অপরদিকে মেয়র আল মামুন গন্ডগোহালী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান মেয়র এর সঙ্গে জোরপূর্বক একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে রোববার ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে থানায় ধর্ষণের একটি অভিযোগ দেন। আর সোমবার সকালে অভিযোগটি মামলা ভুক্ত করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, গত এক বছর আগে পৌরসভায় একটি চাকরির জন্য মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম। এরপর তিনি বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন। একপর্যায়ে তার এই অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিয়ের প্রলোভনে আরও কয়েকবার ধর্ষণ করেন। সম্প্রতি মেয়র আর আমাকে চাকরি দেবে না ও বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। বিষয়টি প্রতিবাদ করায় তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। যার কারণে মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

ওই নারী আরও বলেন, মেয়র একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি। তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাঁটিয়ে ও বিভিন্ন প্রলোভনে নিয়মিত বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে আগেও থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আব্দুল বারী মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রাতে একজন নারী বাদী হয়ে থানায় এই অভিযোগটি দায়ের করেন। সোমবার সকালে মামলাভুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর মেয়রকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে মেয়র পলাতক রয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সোমবার দুপুরে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে গত বছরের শুরুতে দুর্গাপুর উপজেলার একজন হাসপাতালের সেবিকাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ ঘটায় ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ওই সেবিকা সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বছর ১১ এপ্রিল মেয়রের লোকজন তাকে ব্যক্তিগত অফিসে তুলে এনে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই সেবিকাকে মেয়রের চেম্বার থেকে উদ্ধার করেন। পরে ওই রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মেয়রকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার তদবিরে বিষয়টি রফা করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

ads

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.