নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নানা অনিয়মে জর্জরিত হয়ে পড়েছে। ঠিক মতো মেলে না ঔষধ ও জরুরি সেবা। হাসপাতালের কর্তব্যরত ব্যক্তিরা রোগীদের প্রতি ব্যাপক উদাসীন। চিকিৎসার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ডাক্তাররা দালাল চক্র ও ঔষধ কোম্পানীর লোকের সাথে সময় কাটান। এর কারণে অতিষ্ঠ রোগীর স্বজনরা। আর সব কিছুতেই লিখিত অভিযোগ ছাড়া তদন্ত বা ব্যবস্থা নেন না হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঢাকা-রাজশাহী মহা সড়কের পাশে হওয়ায় ও যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় প্রতিনিয়ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে দুর্ঘটনা সহ ঔষধ সহ নানান রকম রোগী সেবা নিতে আসেন। হাসপাতালটিতে দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা অ্যাম্বুলেন্সের জরুরি সেবা না পাওয়ারও উঠেছে অভিযোগ। পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি রোগীদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও, সেই এম্বুলেন্সে রোগী বহন করা হয় না। পাশাপাশি ওই হাসপাতালটিতে খাবারের মান খুবই নিম্ন খুবই নিম্নমানের বলে একাধিক রোগী ও রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন।
উপজেলাটিতে মোট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র রয়েছে ৫ টি। শিবপুর, ভালুকগাছি, পচামাড়িয়া (শিলমাড়িয়া), গোপালপাড়া, দাসমাড়িয়া এসব ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র গুলোর অবস্থা আরো বেশি করুণ। সেখানে রোগীরা ঠিকমতো প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঔষুধ পায় না। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র গুলো যেন এক প্রকার বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র গুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নেই। সেখানে সেবা নিতে না গিয়ে বরঞ্চ উল্টো বাহিরে সেবা গ্রহণ করছেন টাকার বিনিময়ে। এসব স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র গুলোর সবগুলোর অবস্থা নাজুক। সরকারি অর্থ যেন জলে ফেলার মত। কর্মরত ডাক্তার নার্সদের বললে তারা নানান বাহানা দিয়ে বলেন আজ এখানে মিটিং কাল ওখানে কাজ ছিল বলে কাটিয়ে দেয়।