মোহনপুর প্রতিনিধি
রাজশাহীর কেশরহাট পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের বিদ্রিকা মহল্লার আনারুল নামে একজন ভূমিহীন পান বিক্রেতা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভুগি রোববার (১১সেপ্টেম্বর) কেশরহাট পৌরসভার বিচার বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্রিকা মহল্লার মুনারুলের ছেলে আনারুল ইসলাম একজন ভূমি এবং দরিদ্র পান বিক্রেতা। তিনি স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করেন। সংসার যাপনের জন্য তিনি গলায় ভ্রাম্যমাণ ঠোঙা নিয়ে হাটে হাটে পান বিক্রি করেন। স্থায়ী বসবাসের লক্ষ্যে তিনি কষ্টের অর্থ দিয়ে পার্শ্ববর্তী ৪নং ওয়ার্ডের দর্শনপাড়া মহল্লার হাজী আশরাফুল ইসলামের দুই শতক জমি কেনার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা মৌখিক বায়না নামা করেন। বায়না নামা করার সময় সংশ্লিষ্ট ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলরসহ কয়েকজন গ্রাম্য মাতব্বর উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে হাজী আশরাফুল ইসলাম সম্পুর্ণ টাকার নিয়ে ওই দুই শতক জমি আনারুলকে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার কথা থাকলেও হাজী আশরাফুল নানা তালবাহানা শুরু করেন। এরপর দুই আড়াই মাস পরে, সে জমি হাজী আশরাফুল বেশি টাকা নিয়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন। এঘটনার পরে আশরাফুলের কাছ থেকে আনারুল জমি ক্রয় করতে চাইলে সে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকে। এমনি কি বায়না নামার ৫০ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে হাজী আশরাফুল এ ব্যাপারেও নানান টালবাহানা করে। জমি ও টাকার কোনো সুরাহা করতে না পেরে ভুক্তভুগি আনারুল ইসলাম প্রতিকার চেয়ে রোববার কেশরহাট পৌরসভার বিচার বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়া বায়না নামার পরে হাজী আশরাফুল আনারুলকে তার জমির পজিশন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বলে জানান এলাকাবাসীরা।
এবিষয়ে হাজী আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার মুঠোফোন ০১৭২৭৭১২৪২৯ নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহিদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।