নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী পবা উপজেলার রনহাট পশ্চিমপাড়া এলাকায় প্রায় ২ বিঘা পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে কাঁকড়া গাড়িতে করে পার্শ্ববর্তী একটি ইটের ভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ ইউএনও এবং প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই রাতের আঁধারে ওই পুকুর খনন করছেন মাহাবুল নামের এক ব্যক্তি। প্রশাসন বিষয়টি যেন দেখেও না দেখার ভান। আদালতের আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে একের পর এক ফসলি জমিকে শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন এবং পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রির মহাউৎসব ।
৯ জুন (রবিবার) আনুমানিক রাত ১০:২৫ মিনিটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পবা উপজেলার রনহাট এলাকায় একটি ২ বিঘার পুকুর সংস্কারের নামে চলছে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এসি ল্যান্ড ও থানা ম্যানেজ করেই একজন মেম্বার ও পুকুর মালিক মাহাবুল একত্রে মিলিত হয়ে এই পুকুর খনন করছে রাতের আঁধারে।
ইউএনও লিখিত অনুমোদন না দিলেও মৌখিকভাবে অনুমোদন দেয় এভাবে যে, পুকুর খননের কাজ যেন দিনে না করে যেনো রাতের আঁধারে পুকুর খননের কাজগুলো করা হয়। আর মাটি পরিবহনের জন্য এই রাস্তাগুলো নষ্ট হতে চলেছে তাই রাস্তায় যেন মাটি পরে না থাকে।
তবে উক্ত জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করলেও স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার লিলবর জানায়, আমি প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন করতে বলছি।
বিষয়টি পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী’কে জানালে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার জানা ছিলোনা আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করছি।
প্রতিবেদক পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত’ কে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি অভিযানের ব্যবস্থা করে জানাচ্ছি।
কিন্তু ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পার হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত’কে ফোন দিলে গত রাতের অভিযোগের কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযান এখনো হয়নি পরিকল্পনা চলছে। অদৃশ্য কারনে তাদের এমন পরিকল্পনা দেখেই বোঝা যায় জনগণের ধানি জমি কিভাবে পুকুরে পরিণত হয়ে যায়।