নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী পশ্চিম রেলের সাবেক জিএম অসীম কুমার তালুকদারসহ প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগে বহুবার সংবাদ প্রকাশ হলেও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি আ’লীগ সরকার।
সিসিএম, সিওপিএস, সিপিও, সিওএস, সিইই, সিএমও, ডিআরএম, ডিএমও সহ পশ্চিম রেলে আ’লীগ পন্থী শ্রমিকনেতা ও ঠিকাদাররা লুটপাটের স্বর্গরাজ্য তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখনো দূর্নীতিবাজ ওইসকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শ্রমিকলীগ নেতারা বহালতবিয়তে আছেন। উদ্ধর্তন কোনো কর্মকর্তা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। বিভিন্ন সময়ে এসকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এদের সম্পদের হিসাব হওয়া অতিব জরুরি বলে মনে করেন সুশীল সমাজের মানুষ।
আ’লীগ সরকার আশীর্বাদে সাবেক জিএম অসীম কুমার তালুকদার ভারতসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদসুত্রসহ রেলের কিছু কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
পশ্চিম রেলে কর্মরত ১৩ জন চিফ তাঁদের অধীনস্থ কর্মকর্তারা এ তালিকায় আছেন। রেল শ্রমিক লীগের আক্তার আলী, আইনুল, মেহেদী হাসান, ইকবাল, দেব্রত সিনহা দেবু, সিএমও অফিসের আশরাফ, আনোয়ার, সাদেকুল, হিসাব শাখার জসিম, সিওএস অফিসের রিদয়, সিপিও অফিসের ফরাদ মজুমদার, আরএনবি’র ইকবাল, হাবিবুর রহমান হবি, মহসিন, জহুরুল ইসলাম, মামুন, সুমনসহ প্রায় শতাধিক নেতা এসব অনিয়ম দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের দাবি অসাধু কর্মকর্তাদের অর্জিত সম্পদের হিসেব নেওয়া। আয় বহি:ভুত অতিরিক্ত সম্পত্তি সরকারি কোষাগারে জমা করা।
পশ্চিম রেলের লুটপাটকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ শ্রমিক লীগের নেতারা বর্তমানে আত্মগোপনে থাকলেও বর্তমানে কয়েকজন অফিসে এসে হাজিরা দিয়েই চলে যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন সিপিও অফিসের আইনুল হক, হিসাব শাখার জসিম, সিএমও অফিসের আশরাফ, আনোয়ার, সাদেকুল, সিওএস অফিসের রিদয়, সিপিও অফিসের ফরাদ মজুমদার। বাকী প্রায় শতাধিক নেতা ও আ’লীগ পন্থী ঠিকাদার রয়েছে আত্মগোপনে। এদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া কর্তা বাবুরা বহাল থেকে এখন ভিন্ন মতাদর্শের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছাত্রছায়ায় আছেন। আ’লীগ সরকারের আমলে কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শ্রমিকলীগ নেতারা হয়েছেন কোটিপতি। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনন্দোলন দমনে এসকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং শ্রমিকলীগ নেতাদের প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ মদদ ছিলো। কালো টাকায় মাদক আসক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা এরা ছাত্র দমনে ভুমিকা রেখেছিলো।
বর্তমানে পশ্চিমাঞ্চল রেলে অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক মাসুম আহম্মদ ভারপ্রাপ্ত জিএম হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এখনো এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বরং তাবেদারি ও স্বার্থ রক্ষায় এসব লুটপাটকারীকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসব বিষয়ে কথা বললে ভারপ্রাপ্ত জিএম মাসুম আহম্মদ বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকলে আমি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবো না।