নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নগরীর আলুপট্টিতে নিহত ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত ও বিভিন্ন অপকর্মের মূলহোতা আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বাশার সুজন ও সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রামিল হাসান সুইট।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল বাশার সুজন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রামিল হাসান সুইট, তারা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে। সুজন ও সুইট এর বাড়ি রাজশাহী নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ড সপুরায়।
সুজন এর আগে বোয়ালিয়া পশ্চিম থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে হিরোইন গডফাদার নামে পরিচিত রাজশাহী-১ আসনের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর হিরোইন ব্যবসা রাজশাহী শহরে সাপ্লাই দেওয়ার চুক্তি ও বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা দিয়ে সুজন বাগিয়ে নেয় তানোর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ এবং রামিল হাসান সুইট ছিল রাজশাহী মহানগর জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক, একই কায়দায় সুইট বাগিয়ে নেয় তানোর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক পদ।
সুজন ও সুইট এবং বোয়ালিয়া পশ্চিম থানা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো:সুমন হোসেন ওরফে সন্ত্রাসী সুমন যুবলীগ কর্মী সবুজ (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা), ১৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মোঃ জনি, ১৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃসৌরভ, রাজশাহী পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ সহ অনেকে এই সিন্ডিকেট বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম, চাঁদাবাজি, মিথ্যা অপবাদে পুলিশের হাতে নিরিহ মানুষ কে তুলে দেওয়া, বিরোধী মতের মানুষকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
আরোও জানা যায়, সুজন ও সুইটের অর্থের দাপটে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই রাজশাহী মহানগর বোয়ালিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেয় সুমন। এরপর আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এই সিন্ডিকেট।
গত ৫ আগষ্ট নগরীর সপুরার আওয়ামীলীগ ক্যাডার সৌরভ, মুস্তাক, সবুজ, সুমন, ঘোড়া জনি সহ আরো অনেকজনকে এই সুজন ও সুইট সরাসরি ছাত্র হত্যার জন্য অস্ত্র ও পিস্তল ও অর্থের যোগানদাতা।
সুজন এর মালিকানাধীন রাজশাহী মহানগরীর হোটেল গ্রান্ড আবাসিকে চলে অবৈধ দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা। সুজন ও এই হোটেলের নামে ইতিমধ্যে মানব পাচার মামলাও চলমান।
তাছাড়া রাজশাহী জেলাধীন বিভিন্ন হাট বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দূর্নীতি করে নিজ নামে ইজারা নিতো সুজন ও সুইট। তাছাড়া সুজনের নাম ব্যবহার করে সুইট বিভিন্ন বাক্তির কাছে টাকা নিতো ব্যবসায় ইনভেস্টমেন্ট করার কথা বলে এবং টাকা ধার নিতো। পরে টাকা চাইতে গেলে বিভিন্ন মামলার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদশর্ন করতো। সুইট ও সুজনের কাছে অবৈধ আগ্নেয় অস্ত্র আছে। তা দিয়ে সুইট ভয় দেখিয়ে পাওনাদারদের বিদায় করতো।
কিন্তু এরা বিভিন্ন চাঁদাবাজি, নারী পাচার সহ অপকর্মের সাথে এবং সম্প্রতি ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত থাকলেও আবুল বাশার সুজনের নামে কোন থানায় কোন মামলা এখন পর্যন্ত হয়নি এবং সুইটের নামে কিছু দূর্বল মামলা হলেও কিন্তু ছাত্র হত্যা মামলায় এই দুইজনের কারো নামই নাই।এরা নিশ্চয়ই কোন অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তারা এখনও রামরাজত্ব কায়েম রেখেছে।