তানোর প্রতিনিধি
নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন( ইউপি) তে জিআার প্রকল্পের ১০ কেজি করে খয়রাতির চাল বিতরন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে চাল বিতরনের শুভ উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী। এসময় ট্যাগ অফিসার এটিও আবু হামিদ মো: ওয়ালি উদ্দিন, ইউপি সচিব মুস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য সেকান্দারসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বর্তমান সরকার জিআর প্রকল্প থেকে ১০ কেজি করে বিনা মুল্যে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার কলমা ইউপিতে ১১৫০ জন দরিদ্র ব্যক্তিদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরন করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান বাবু চৌধুরী জানান, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার পরও বর্তমান সরকার বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু কলমা ইউপিতে না সারা দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। বিশেষ করে এউপজেলার জনসাধারন কৃষির উপর নির্ভরশীল। আর এসময়টা কাজ না থাকায় চরম সমস্যা নিয়ে দিন পার করতে হয়। এমন সময় ১০ কেজি করে বিনা মূল্যে চাল পেয়ে ব্যাপক আনন্দিত। শুধু কলমা ইউপিতে ১১৫০ জন ব্যক্তি ১০ কেজি করে ১১ হাজার ৫০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাহলে সারা দেশে কত হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এসময় ১০ কেজি চাল মানে অনেক কিছু।
পিআইও প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম জানান, বর্তমান সরকার শুধু জিআর চাল না প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে যাবতীয় সবকিছু করছেন। এত সংকটের মধ্যেও বর্তমান সরকার গরীব অসহায় জনসাধারনের জন্য কত ধরনের বরাদ্দ দিচ্ছেন তা কল্পনাতীত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, সম্প্রতি শারদীয় দূর্গা পুজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি মন্দিরে ৫০০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। এর আগে জিআর প্রকল্প থেকে ১০ কেজি করে বিনা মূল্যে চাল দিয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে বিশাল ভূর্তুকিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে কার্ডধারী ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন। দুই পৌরসভার জন্য ওএমএস চাল ৩০ টাকা কেজিতে কিনতে পারছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ পরিচালনা হচ্ছে বলেই এবং জাতির জনকের দেখানো পথে তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর করেছেন। গৃহহীনদের বাড়ী উপহার দিতেই আছেন। এত মন্দার মধ্যেও সকল ধরনের উন্নয়ন কাজ চলতেই আছে। বিধবা, বয়স্ক, শিক্ষাভাতা, বিনা মুল্যে বই বিতরন, মাতৃত্ব কালীন ভাতা, ভিজিএফ,ভিজিডি, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জন্য নানা প্রকল্প গ্রহন করে তাদেরও জীবনমান পরিবর্তন হয়েছে।