সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অডিওতে রাজপাড়া থানার এসআই ওয়ারিশ বলেন, ‘ওসি স্যারের জন্য একটা বাজেট কইরো। ওসি স্যারকে দিতে হবে, না হলে সমস্যা হবে।
আসামির কাছ থেকে ঘুস নেওয়ার একটি অডিও ছড়িয়ে পড়লে ওয়ারিশ নামের এক এসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম।
তিনি বলেন, অডিওটি আমরা শুনেছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর রফিক নামের এক আসামিকে ব্যক্তিগত নম্বর থেকে ফোন দেন এসআই ওয়ারিশ। তখন তিনি বলেন, কিছু খবর দিলে তাদের গ্রেফতার করা হবে না। ওই দিন তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নেন তিনি। পরে আরও তিন হাজার টাকার জন্য ফোন দিয়ে একটি বিকাশ এজেন্ট নম্বরে নিয়ে যান। একই মামলার ৩ নম্বর আসামির কাছ থেকে দুই দফায় বিকাশের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা নেন ওয়ারিশ।
৭ নভেম্বর মঙ্গলবার আসামি রফিক আদালত থেকে জামিন নিয়ে রাজপাড়া থানার ডিউটি অফিসারের কাছে সন্ধ্যায় জামিনের রিকল জমা দেন। বিষয়টি এসআই ওয়ারিশ জানতে পারলে রফিককে ফোন দিয়ে রিকল ডিউটি অফিসারকে দেওয়ার জন্য গালাগালি করে। রিকলটি তার হাতে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন তিনি। পরে সন্ধ্যায় মামলার ৩ নম্বর আসামি কাঁচার মুঠোফোনে ফের কল দিয়ে ঘুস দিয়ে চাঁদা দাবি করেন এসআই ওয়ারিশ। জামিন নেওয়ার কারণে ঘুসের টাকা দিতে অস্বীকার করেন কাঁচা।
নাম প্রকাশ না করে আসামিদের একজন বলেন, আমাদের কাছে কথায় কথায় টাকা চেয়েছেন তিনি। দিন-রাত নেই সব সময় ফোন দিয়ে টাকা চেয়েছেন। মামলার পর থেকে এসআই ওয়ারিশের অত্যাচার ও ঘুস দাবি করায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি।
এ বিষয় এসআই ওয়ারিশ জানান, কারো সঙ্গে মনোমালিন্য হলে এ ধরনের অদ্ভুত কথা ছড়িয়ে দেয়। আমি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তারা জামিন নিয়ে যাবার দিন রিকল দিয়ে যেতে বলে ছিলাম। তারা আমাকে অনেক সময় দাঁড়িয়ে রেখেছিলেন। আমি মন খারাপ করে তাদের একটু গালি দিয়েছিলাম।
তিনি আরও জানান, আমাকে হেয়পতিপন্ন করতে অডিওটি ছড়ানো হয়েছে। এটি মিথ্যা অডিও। দরকার পড়লে আমি তাদের আপনাদের সঙ্গে মিট করিয়ে দিতে পারি।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যদি কেউ ঘুস নিয়ে থাকে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।