তানোর প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে রাস্তার রিপিয়ারিং কাজে প্রচুর অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়ন(ইউপির) মাদারিপুর থেকে নাকল পর্যন্ত ১৮০০ মিটার রাস্তার কাজে এঅনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম থেকে ঠিকাদারের অনিয়ম পুরাতন ইট খোয়া ব্যবহারের কারনে ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করলেও কোন গুরুত্ব দেন নি এলজিইডি অফিস। এতে করে রাস্তার টিকসই নিয়ে সন্দিহান।
চেয়ারম্যান ফরহাদ জানান, রাস্তায় খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে পুরাতন, প্রথম থেকেই ব্যাপক অনিয়ম করেন ঠিকাদার। উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হলেও নজর দেন নি। দিলে তো পিসি খাওয়া যাবে না। যতগুলো রাস্তার কাজ হয়েছে সবচেয়ে নিম্মমানের এই রাস্তার কাজ।
জানা গেছে, উপজেলার মাদারিপুর মোড় থেকে পশ্চিমে নাকল পর্যন্ত ১৮০০ মিটার রাস্তার কাজ পায় অন্য এক ঠিকাদার। তার নিকট থেকে ১৪% লাভে কিনে নেয় রাজশাহী শহরের বাবুল নামের এক ঠিকাদার। মুলত কিনে কাজ করার জন্য এত অনিয়ম। কারন অগ্রিম শতকরা ১৪ টাকা করে লাভ দিতে হয়েছে। রাস্তার এজিং করার সময় ওই রাস্তার পুরাতন তিন নম্বর ইট দেওয়া হয়েছে এবং এজিংয়ে বালুর পরিবর্তে ধুলা মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। ডাবলু বিএমেও একেবারে নিম্মমানের খোয়া ব্যবহার করে রাখার পর রাস্তা দিয়ে ট্র্যাক্টরে করে মাটি বহনের কারনে ভিজে কাদা মাটি পড়ে। মাটি থাকা অবস্থায় প্রাইম বোর্ড করে গত ১২ ডিসেম্বর সোমবার থেকে কার্পেটিং শুরু হয়।
সোমবার দুপুরের পরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রাইম বোর্ড উঠে গেছে, লালচে খোয়া ও ধূলার মধ্যে কার্পেটিং চলছে। সেখানে ছিলেন এসও শাহিনুর, তিনি জানান নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছ, প্রাইম বোর্ড করা হয়েছে মাটির উপর জানতে চাইলে তিনি জানান আমার জানা নেই বলে এড়িয়ে যান। ঠিকাদার বাবলুর সহকারী জানান, কাজটি কিনে করা হচ্ছে, ১৪% অগ্রিম লাভ ও আরো ৩% দিতে হবে, সব মিলে ১৮% আগেই দিতে হয়েছে। তাহলে কাজ কেমন হবে ভেবে নিতে হবে বলে এড়িয়ে যান।
স্থানীয়রা জানান, যত রাস্তা হয়েছে, এই রাস্তার কাজ একেবারেই নিম্মমানের। এত মন্দার মধ্যে সরকার উন্নয়ন করছে, আর ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ মিলেমিশে তসরুপ করছেন। কিছু বললে চাঁদাবাজি মামলা ও শহরের ক্ষমতা দেখাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, কাজ ভালো করার কথা, যদি এমন অনিয়ম হয় বিল দেওয়া হবেনা।