নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে দুইপক্ষই থানায় মামলা করেছে। দুই গ্রাম পুরুষশূন্য থাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুরুষ। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খয়রা লাইনপাড়ার বাসিন্দা মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাস্টার, লিয়াকত মেম্বার ও অমর ইসলাম এঞ্জেলার নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন অনেক দিন ধরে। তারা জমিজমা দখল থেকে শুরু করে ফসল কেটে নেওয়া ছাড়াও নিরীহ এলাকাবাসীর ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছেন।অন্যদিকে উপজেলার ছটিপুকুর গ্রামের তরিকুল ইসলামসহ তার পক্ষের লোকেরা এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে শফিকুল ও তরিকুল পক্ষের লোকেদের মধ্যে ছোটখাটো মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে অতীতে।সোমবার সন্ধ্যার পর শফিকুলের পক্ষের ৪০-৫০ জন দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা, বল্লম, ফলা ও হাতবোমাসহ নিয়ে ছটিপুকুর গ্রামে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে তরিকুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় শফিকুলের সমর্থকদের হামলায় তরিকুলের পক্ষের ২০ জন আহত হন। শফিকুলের লোকেরা গ্রামের ১০টি খড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে দেন। কয়েকটি বাড়িতেও তারা অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে শফিকুলের অনুসারীরা আধাঘণ্টা ধরে গ্রামে তাণ্ডব চালান। তারা প্রতিপক্ষের যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই মারধর করেছে। পরে তরিকুল পক্ষের লোকেরা সমবেত হয়ে তাদের পালটা ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শফিকুল পক্ষের লোকেরা ধাওয়ায় খেয়ে ছটিপুকুর গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।এদিকে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সংঘর্ষে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার দিনভর খয়রা লাইনপাড়া ও ছটিপুকুর দুটি গ্রাম পুরুষশূন্য ছিল। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুইপক্ষই প্রতিপক্ষের লোকেদের আসামি করে থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছেন। পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।