নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রওশনচাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রওশন। সংবাদের তথ্য না দিয়ে সাংবাদিককে সরকারি দপ্তর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রওশন আলীর বিরুদ্ধে।সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আজকের পত্রিকার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো. তারেক রহমানের সঙ্গে ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন আরো দুজন গণমাধ্যমকর্মী।ইউএনও রওশন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক একেএম গালীভ খাঁন জানিয়েছেন।ঘটনার সাক্ষী যমুনা টিভির চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্টাফ রিপোর্টার মনোয়ার হোসেন জুয়েল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একজন গণমাধ্যমকর্মী বক্তব্য নেওয়ার জন্য ইউএনওর সরকারি দপ্তরে যাবেন- এটাই স্বাভাবিক। তথ্য না দিয়ে উল্টো অফিস থেকে বের করে শুধু একজনকে নয়, পুরো সাংবাদিক সমাজকে অপমান করেছেন।ইউএনওকে কেন্দ্র করে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি বস্তুনিষ্ঠ ছিল দাবি করে দৈনিক মানবজমিনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘একসঙ্গে তিন সাংবাদিক থাকার পরেও আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিকে সরকারি অফিস থেকে বের করে দেওয়াটা মানতে কষ্ট হচ্ছে।’ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী তারেক রহমান বলেন, সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে একটি প্রতিবেদনের জন্য মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ শেষে বক্তব্য নেওয়ার জন্য তিনি ইউএনও রওশন আলীর দপ্তরে যান।এ সময় আজকের পত্রিকার পরিচয় পেয়ে ইউএনও বলেন, আপনি কি কোনো সেবা নিতে এসেছেন, না তথ্য নিতে? তথ্য নিতে আসলে আপনাকে তথ্য দেব না, আপনি অফিস থেকে বেরিয়ে যান। এর কারণ জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, আপনি আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেছেন। এ নিয়ে আমাকে জবাবদিহি করতে হয়েছে। আপনাকে কোনো তথ্য দেব না, বের হয়ে যান। এ সময় ইউএনওর কাছে জানতে চাই, আপনার বিরুদ্ধে কি অসত্য নিউজ করা হয়েছে? তখন এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক একেএম গালীভ খাঁন বলেন, কেন ইউএনও এমন করল আমি খোঁজ নিচ্ছি।গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ‘সাড়ে ৯টায় দপ্তর খাঁ খাঁ, ১১ টা নাগাদ ভরপুর’ শিরোনামে দৈনিক আজকের পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।