লাইফ ডেস্ক: সঠিকভাবে মাংস সংরক্ষণ না করতে পারলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। বাইরের আর্দ্রতা, তাপ, জীবাণু, অক্সিজেনের প্রভাবে পচনে সহায়তাকারী ব্যাকটেরিয়া, ইস্ট, মোল্ডের মতো মাইক্রো অর্গানিজমের সংক্রমণে মাংস খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। এর ফলে খাদ্যবাহিত রোগ তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ।
মাংস সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো জীবাণুমুক্ত এবং মাংসের স্বাদ ও গুণগত মান যতটা সম্ভব ঠিক রাখা। তাই আসছে কোরবানি ঈদে প্রচুর কাঁচা মাংস সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার উপায় জানতে হবে। ডিপ ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করার বিষয়টি আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু প্রাচীনকাল থেকেই দেশ-বিদেশে, ঘরে ও বাণিজ্যিকভাবে মাংস সংরক্ষণ করার বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার হয়ে আসছে। আধুনিক সময়েও যা সহজ ও যুগোপযোগী। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিজ ছাড়া মাংস সংরক্ষণ করার উপায়গুলো কী কী।
কোরবানি ঈদে প্রচুর কাঁচা মাংস সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করার উপায় জানতে হবে
চর্বিতে ডুবিয়ে সংরক্ষণ করার পদ্ধতিটি পুরনো। মাংস জ্বাল দিয়ে তারপর চর্বিতে ডুবিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে মাংসের চেয়ে চর্বির পরিমাণ বেশি হতে হবে।
মাংস রোদে বা চুলায় জ্বাল দিয়ে সম্পূর্ণ পানি শুকিয়ে নিতে হয়, এটিকে ড্রাইং পদ্ধতি বলে। সাধারণত লম্বা মালার মতো করে গেঁথে ৬-৭ দিন রোদে শুকিয়ে তারপর এই মাংস সংরক্ষণ করা হয় ৬ থেকে ৭ মাস পর্যন্ত। তবে মাংসে যাতে ফাঙ্গাস না পরতে পারে তার জন্য মাঝেমধ্যে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে এবং রান্নার আগে মাংস ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখবেন।
মাংসে লবণ দিয়ে ২ থেকে ৩ মাস সংরক্ষণ করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে মাংস সবচেয়ে বেশি ফ্রেশ এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয়ে থাকে। এর জন্য সাধারণ লবণ ব্যবহার না করে সুপার শপ থেকে কিউরিং সল্ট কিনে নিতে হবে।
মাংসে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করলে সবচেয়ে বেশি ফ্রেশ এবং পুষ্টিগুণসম্পন্ন থাকে
ধোঁয়া দিয়ে মাংস সংরক্ষণ করার পদ্ধতিটি প্রাচীন। মাংস ধোঁয়ায় দেওয়ার আগে অল্প পরিমাণ লবণ মাখিয়ে তারপর গ্রিলের মতো করে ঝলসে নিতে হবে। ঝলসানো মাংস এয়ারটাইপ বক্সে রেখে ১ থেকে ২ মাস সংরক্ষণ করতে পারবেন।
প্রেসার ক্যানিং পদ্ধতিতে মাংস সংরক্ষণ করতে অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ নেওয়া উচিত। না হলে মাংস নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কাচের জার বা বয়ামের মুখ আটকে তাতে মাংস প্রায় এক বছর সংরক্ষণ কারা যায়। তবে মাংস কাটা, রান্নার আগে সিমিং, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ঠাণ্ডা করা ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষ নজর রাখতে হবে।