November 20, 2025, 10:50 am

চৈত্রের ভোরে শীতের কুয়াশা দেখল রাজশাহী!

চৈত্রের ভোরে শীতের কুয়াশা দেখল রাজশাহী!

নাহিদ ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলা পঞ্জিকার পাতায় আজ ৮ চৈত্র। অর্থাৎ চলছে খরতাপের মৌসুম।কিন্তু চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে যেন হঠাৎই খেয়ালি হয়ে উঠছে রাজশাহীর প্রকৃতি। এ সময় কেউ কোনো দিন কুয়াশা না দেখলেও ব্যাতিক্রমী সেই চিত্র সবাই দেখেছে আজ।বুধবারের (২২ মার্চ) ভোর ঢেকে গিয়েছিল ঘন কুয়াশার চাদরে।

রাজশাহীতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৮ মিনিটে। কিন্তু ঘন কুয়াশার প্রলেপে সেই সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ভোরে সূর্যোদয়ের পর পরই ঘন কুয়াশায় আবারও ঢেকে যায় সবুজ প্রকৃতি। ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখতে পাননি রাজশাহীবাসী।কয়েক দিন থেকে অব্যাহতভাবে তাপমাত্রা বাড়ার পর বৃষ্টি ঝরেছে গত দুই দিন আগে। এরপরই হঠাৎ প্রকৃতির এমন আকস্মিক পরিবর্তন দেখে তাই সবাই হচকচিত! সচারাচর এমনটি হওয়ার কথা নয়।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস বলছে- এবছর অনেকটা আগেভাগেই বিদায় নিয়েছে শীত। ফাল্গুনের আগেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির ওপরে উঠে গেছে। এই গ্রীষ্মের শুরুতে রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ইতোমধ্যে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে গত ১৬ মার্চ ০ দশমিক ৩ মিলিমিটার এবং ১৯ মার্চ ১৮ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজশাহীতে। যদিও চৈত্র মাসে এমন সময় কুয়াশায় পড়ার ঘটনা বিরল। জানতে চাইলে- রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বলেন, বুধবার ভোরে সূর্যোদয় হলেও পরে কুয়াশা পড়ে। যা এখন পর্যন্ত (ভোর সাড়ে ৬টা) স্থায়ী ছিল। তবে পরে হয়তো আবার সূর্যের মুখ দেখা যাবে। হঠাৎ প্রকৃতির এমন আচরণ কেন? সে সম্পর্কে তিনিও কোনো উত্তর দিতে পারেন নি।তিনি বলেন, আজ বুধবার রাজশাহীতে সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ৮ মিনিটে। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণ এখনও সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। আজ ভোর ৬ টায় রাজশাহীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।এদিকে, তীব্র তাপদাহের পর ভোরের এমন স্নিগ্ধ কুয়াশায় মন ভুলেছে অনেকের। পবিত্র রমজানের দুদিন আগে এমন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় অনেকেই তৃপ্তি ও প্রশান্তি নিয়ে প্রাতভ্রমণ সেরেছেন। মন খুলে হেঁটেছেন। নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া সকলের মন জুড়িয়ে দিচ্ছে গরম অস্বস্তিতে থাকা মানুষগুলোকে।তবে এমন কুয়াশা রাজশাহীর আমের মুকুল ও গুটির জন্য ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন, রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন।

তিনি বলেন, এমন ঘন কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে আমের মুকুলে ‘পাউডারি মিলডিউ’ নামে এক ধরনের রোগ দেখা দেয়। এতে আমের মুকুল ঝরে পড়ে। যার প্রভাব পড়ে আমের ফলনেও। যদিও এখন রাজশাহীর অধিকাংশ গাছে আমের গুটি চলে এসেছে বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.