November 24, 2024, 7:25 pm

News Headline :
সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রাবির হল সম্পাদককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা

রাবির হল সম্পাদককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাইকের উপর হাত রাখা নিয়ে বাকবিতন্ডার জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে পিটিয়েছে হল শাখা ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩ টায় হল গেটে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিকের বাইকে হাত রাখে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইজাজুল ইসলাম মুন্না। সেসময় রাথিক মন্নার সাথে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করে এবং মুন্নাকে বলে ‘ক্যাম্পাসে এত সাইকেল বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে, তুই কি আমার বাইক চুরি করার চিন্তা করছিস।’ তখন বিষয়টা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।এরপর দুপুর ৩ টার দিকে মুন্নার সাথে হলগেটে আবার রাথিকের দেখা হয়। তখন মুন্না রাথিকের কাছে সকালের আচরণের কারণ জানতে চায়। আবার একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে রাথিকের বাইক পড়ে যায়। তখন রাথিক মুন্নাকে মারার জন্য তেড়ে আসে। এসময় মুন্নার সাথে থাকা আরও ৭-৮ জন কর্মী মিলে রাথিককে মারধর করে।

তাৎক্ষনিকভাবে রাথিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাকে মারধরের বিষয়টি অবহিত করে।সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমসসহ ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের রুমের সামনে গিয়ে মুন্নাকে মারধর করেন। মুন্না আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিক বলেন, সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।

মুন্নাকে মারধর করতে দেখা গেলেও আলফাত সায়েম জেমস বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাদারবখশ হলে একটা ঝামেলা হচ্ছে জানতে পেরে আমরা স্বাভাবিকভাবে সব হলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সেখানে উপস্থিত হই।

পরবর্তীতে সেখানে তেমন কোন বড় বিষয় লক্ষ্য করিনি, কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমাদেরই কর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একটু মনোমালিন্য কথা-কাটাকাটি হয়েছে। আমি পরে দুপক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টির মিমাংসা করে দিয়েছি।এ বিষয়ে মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ শামীম হোসেন বলেন, আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পায়নি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তারাই দেখতে চেয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.