নাহিদ ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পবিত্র রমজান মাস এলেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে রাজধানী পুরান ঢাকার ইফাতার। যুগ যুগ থেকে চলে আসা ঐতিহ্য বহনই তার মূল কারণ।
তাই পুরো দেশের অনেক ভোজনপ্রিয় মানুষই পুরান ঢাকার ইফতারের সাদৃশ্য খোঁজেন নিজ নিজ জেলায়। আর এমন ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকরা সাধ্য অনুযায়ী আয়োজনের চেষ্টা করেন। তাই ইফতারে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘চিকেন টিক্কা’র স্বাদ নিতে এখন আর সেখানে যেতে হবে না। কারণ ঐতিহ্যবাহী ঢাকার সেই চিকেন টিক্কা এখন মিলছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতেই।
এ বছর পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাজশাহীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টের নামিদামি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও ফার্স্টফুড শপগুলো নিয়ে এসেছে স্পেশাল ইফতারের সম্ভার। পদ্মা পাড়ের রোজাদারদের বিশেষ চাহিদা ও পছন্দ মাথায় রেখে আয়োজন ব্যতিক্রমী ইফতারের। অনেক ইফতার পণ্যের ভিড়ে তাদের প্রধান আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকার চিকেন টিক্কা।
রাজশাহী হোটেল মেমোরির কর্মচারী নাহিদুল ইসলাম জানান, ইফতারে চিকেন টিক্কা রাজধানীর পুরান ঢাকার বিশেষ একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর পরিচিতি দেশজুড়ে। তাই এবার রাজশাহীর রোজাদারদের চাহিদাকে সামনে রেখে বিশেষ কারিগর দিয়ে এ চিকেন টিক্কা তৈরি করা হচ্ছে। স্বাদ, মান ও গুণেও অক্ষুণ্ন রাখা হচ্ছে পুরান ঢাকার এ ঐতিহ্যবাহী খাবারের।
নাহিদুল ইসলাম জানালেন, সেরা আকর্ষণ হওয়ায় রোজাদারদের মধ্যে এর চাহিদাও বেড়েছে। চিকেন টিক্কার মূল্য ১০০ টাকা (হাফ) নির্ধারণ করা হয়েছে। দুপুরের পর থেকে চিকেন টিক্কা বিক্রি শুরু হচ্ছে। ফুরিয়ে যাচ্ছে ইফতারের আগেই। তাই চিকেন টিক্কার সঙ্গে অন্য আইটেমও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, সিঙ্গারা, কোপ্তা, কলা ও লুচি প্রতিপিস ১০ টাকা, ডিম চপ, চিকেন চপ, জালি কাবাব, বিফ স্টিক, ইরানি কাবাব প্রতিপিস ২০ টাকা, কাঠি কাবাব ৫০ টাকা, কিমা পরোটা ৩০ টাকা, মিনি চিকেন ফ্রাই, বিফ সাসলিক, চিকেন সাসলিক ৫০ টাকা, বিফ চাপ, সিক কাবাব ৮০ টাকা, সরমা কাবাব ৯০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ১২০ টাকা, জিলাপি প্রতি কেজি ২০০ টাকা, হালিম ৬০ থেকে ২০০ টাকা, তেহারি ৮০ থেকে ১৬০ টাকা, ফুল রোস্ট, ফুল চিকেন টিক্কা ৩৫০ টাকা ও কাচ্চি ১২০ থেকে ২৩০ টাকা। এছাড়া অর্ডার অনুযায়ী ইফতারের প্যাকেট পার্সেল মিলছে। আর প্লেটপ্রতি ইফতার প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা।