আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে চলা বিক্ষোভের মুখে নিজের সরকারি বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। শনিবার (০৯ জুলাই) বিক্ষোভকারীরা তার বাসভবনে ঢুকে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কান সরকারি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, কলম্বোতে দেশটির সাধারণ জনগণ সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেওয়ার পরপরই শুক্রবার রাতে বাসভবন ছেড়ে সেনাবাহিনীর সদরদফতরে আশ্রয় নেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
কলম্বোয় বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগেই প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এরইমধ্যে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর দু’টি জাহাজে স্যুটকেস লোড করা হচ্ছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি, জাহাজে তোলা সব স্যুটকেস প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের।
শ্রীলঙ্কার বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেল শনিবার ( ০৯ জুলাই) বিকেলের দিকে দেশটির প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি গাড়িবহর পৌঁছানোর খবর দিয়েছে। এই গাড়িবহর প্রেসিডেন্টের কিনা এবং তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি ওই টেলিভিশন চ্যানেল।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবচেয়ে মারাত্মক আর্থিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় গোটা দেশ। ভোগ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট, ওষুধের তীব্র সংকট এসবের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া ও তার ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে দায়ী করে আসছেন আন্দোলনকারীরা।সূত্র: রয়টার্স