November 24, 2024, 7:35 pm

News Headline :
সীমাহীন দূর্নীতির পরও বহাল তবিয়তে মোহনপুরের ইউএনও আয়শা সিদ্দিকা রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু রাজশাহীতে কোথাও স্থাপনা করতে না পেরে শেষমেস ভাঙারির দোকানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: নাছিম রাজশাহীতে আলু ও তেলের দাম বাড়তি রাজশাহীতে ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বললো মহানগর ছাত্রদল প্রধান উপদেষ্টার সাথে খালেদা জিয়ার মতবিনিময় দেশের সকল ক্ষমতার মালিক হবেন জনগণ: ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রাজশাহীর ছয় আনার ‘শাহী ফিরনি’র সেকাল-একাল

রাজশাহীর ছয় আনার ‘শাহী ফিরনি’র সেকাল-একাল

নাহিদ ইসলাম,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুদীর্ঘ ছয় যুগেরও বেশি পথ চলা। এ ৭৩ বছর নিজের পরিচয় ধরে রেখেছে ‘দিল্লির শাহী ফিরনি’। এককভাবেই রাজত্ব করছে রাজশাহীর ভোজন রসিকদের মনে-প্রাণে। প্রতিবেশী দিল্লির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে প্রাচীন শহর এ রাজশাহীতে।

অমৃত স্বাদের এ শাহী ফিরনি বারতা দিয়ে যাত্রা চলেছে এখন শত বছরের পথে। পবিত্র রমজান মাসে রাজশাহীর মানুষের কাছে ইফতারের সময় বাহারি পদের সঙ্গে দিল্লির এ শাহী ফিরনি যেন একদিন হলেও চাই-ই চাই।

রাজশাহী মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী হোটেল রহমানিয়া ও তাদের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান রহমানিয়া ও রহমানিয়া প্লাস দিল্লির শাহী ফিরনির একমাত্র বিক্রেতা। এক নামেই যার পরিচিতি। তাই প্রতি বছর রমজান মাস এলে রহমানিয়ার শাহী ফিরনি ছাড়া এখানকার মানুষের ইফতারে যেন পরিপূর্ণতা আসে না আজও।

রাজশাহী রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ও ঐতিহ্যবাহী রহমানিয়া হোটেলের মালিক রিয়াজ আহমেদ খাঁন বলেন, আজ থেকে ৭৩ বছর আগে (১৯৫০ সালে) তার দাদা আনিসুর রহমান খাঁন ভারত থেকে সুস্বাদু এ খাবারটি রাজশাহীতে নিয়ে আসেন।

এর রন্ধনশৈলী ও উপকরণ নিয়ে রাজশাহীতে এর প্রচলন শুরু করেন। তার সুবাদে রাজশাহীতে বসেই মানুষ দিল্লির স্বাদ গ্রহণের সুযোগ পান। সেই থেকে রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত শাহী ফিরনির কদর এক রত্তিও কমেনি। যুগের পর যুগ ধরে স্বাদের ঐতিহ্য বহন করে আসছে দিল্লির এ শাহী ফিরনি।

এভাবেই পার করছে ছয় যুগ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বাদ গ্রহণ করে চলেছে রহমানিয়ার এ ফিরনির। সে সময় দাম ছিল মাত্র ছয় আনা। আর এখন এর দাম ৩৫ টাকা। তবে স্বাদ ও যুগ হিসেবে এখনও তা অনেক কম।

রিয়াজ আহমেদ বলেন, দুধ, পোলাওয়ের চালের গুড়াসহ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে এ শাহী ফিরনি তৈরি করার পর মাটির একটি পাত্রে করে জমিয়ে রাখা হয়। পরে তা বিক্রি করা হয়। তবে আগে প্রতিদিন পাওয়া গেলেও বর্তমানে রমজান মাস ও বিয়ে বা অন্য অনুষ্ঠানের বিশেষ অর্ডার ছাড়া শাহী ফিরনি তৈরি হয় না।

স্বাদ ও গুণে অতুলনীয় এ শাহী ফিরনির জন্য রাজশাহীর রোজাদারদের মধ্যে প্রচুর চাহিদা। তাই এ বছর প্রথম রমজান থেকেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে এ আইটেম। নাম ডাক থাকায় ভারতের রাজধানীতেও এ ফিরনির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে উল্লেখ করে রিয়াজ আহমেদ খান।

জানতে চাইলে হোটেলের সেলসম্যান মো. কালু বলেন, রমজান মাসে শাহী ফিরনি তাদের সেরা আকর্ষণ। এছাড়া রমজানজুড়ে রহমানিয়া হোটেলে ইফতারের বিশাল আয়োজন রয়েছে। রহমানিয়ার ইফতারের প্রতি প্যাকেটে থাকছে- বুট, খেজুর, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, সামুচা, কলা, শসা, মুড়ি, কাঁচা বুট ও নিমকপাড়া। যার দাম ৫০/৬০ টাকা। এছাড়া খাসির তেহারি হাফপ্লেট ৭০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি হাফপ্লেট ১০০ টাকা, কাচ্চি ১০০ টাকা, শিক কাবাব ৩০ টাকা, কাটি কাবাব ১৫ টাকা, চিকেন কাবাব ৩০ টাকা, চিকেন টিক্কা ২০ টাকা, চিকেন সাসলিক ২৫ টাকা, ক্রিসপি চিকেন ৬০ টাকা, গ্রিল চিকেন ৮০-৩২০ টাকা, শামী কাবাব ৫০ টাকা, সামুচা খাসির (কিমা) ৬ টাকা, শাহী পেঁয়াজু ৫ টাকা, কোপ্তা ৫ টাকা, ঘি দেওয়া স্পেশাল হালিম ৮০-১৪০ টাকা, খিচুড়ি ১৫ টাকা, শিঙাড়া ৫ টাকা, হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানি ১২০-২০০টাকা, জিলাপি ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের ইফতার কেনাবেচা চলে। এবার রমজানের শুরু থেকেই তাদের সব আইটেমই চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ads



© All rights reserved © 2024
Developed by- .:: SHUMANBD ::.