বাঘা প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে বাঘায় মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাঘা সীমান্তবর্তী পাকুড়িয়া, মনিগ্রাম, গড়গড়ি ইউনিয়নের ১৮০ জনের নাম থানায় তালিকায় রয়েছে। তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা ঈদকে সামনে রেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সোমবার (১০ এপ্রিল) আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন, চোরাচালান প্রতিরোধ ও নাশকতা প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে উপজেলায় মাসিক সভায় সীমান্তরক্ষী বিজিবি ক্যাম্পের ব্যর্থতার কথা উঠে এসেছে।
এদিকে ১ এপ্রিল ৭৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ ঢাকা মেট্রো-গ ১১-০৫৫০ নম্বরের একটি সাদা রঙগের প্রাইভেটকার জব্দ করলেও পুলিশ মালিককে সনাক্ত করতে পারেনি।
বিজিবি ও পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেন্সিডিল, ইয়াবা, হিরোইন ও গাঁজা আনা হচ্ছে। তাদের মাঝে মধ্যে গ্রেফতারও করা হচ্ছে। কিন্তু তারা জামিনে এসে আবার মাদক ব্যবসা করছে।
মাদক ব্যবসায়ীরা খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। মাঝে মধ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে বহিরাগত কিছু মানুষকে দেখা যায়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আত্নীয় বলে পরিচয় দেন।
আয়োজিত মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী, ওসি খায়রুল ইসলাম, সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা, শিক্ষক ও সাংবাদিক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাঘা সীমান্ত আলাইপুর ও মীরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত কম্পনী কমান্ডার নিপেন্দ্রনাথ সরকার ও কামাল উদ্দিন বলেন, বর্তমানে আমরা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকি, তাদের কিছু বুঝে উঠার আগেই অল্প সময়ের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বদলি করা হয়। এ ছাড়াও লোকবল সংকটে রয়েছে। তারপরও সীমান্ত এলাকায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি।
বাঘা থানার ওসি তদন্ত আব্দুল করিম বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের খুঁটির জোর এতো বেশি যে, তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠালেও ক’দিন না যেতে ফের হাজত থেকে বেরিয়ে এসে পূর্বের ন্যায় মাদক ব্যবসা শুরু করে। থানায় প্রতিমাসে যে পরিমাণ মামলা হয়, তার তিন ভাগের দুই ভাগই মাদক মামলা। জনগণ সহযোগিতা করলে সমাজ থেকে খুব তাড়াতাড়ি মাদক নির্মূল করা খুব সহজ হবে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রাইভেটকারের মালিককে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।