পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মোল্লাপাড়া-সাধনপুর সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীরা বলছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগ সাজসে ঠিকাদার সড়কে ৩নং ইট দিয়ে কাজ করছেন। আর খোঁয়ার পরিবর্তে পচাঁ ইটের রাবিশ দিচ্ছেন। এ ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে পুঠিয়ার মোল্লাপাড়া বাজার হতে সাধনপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ কিঃমিঃ আঞ্চলিক সড়ক প্রশস্তকরণ কয়েকটি স্থানে রিটানিং ওয়ালসহ পূণঃনির্মান কাজ শুরু হয়। এ কাজে বরাদ্দ হয়েছে ৬ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। প্রাক্কলিত অর্থব্যায়ে নির্মিয়মান কাজটির দায়িত্ব পায় রাজশাহী মহানগরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসিম এন্টারপ্রাইজ৷
এলাকাবাসীরা সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাফলতির কারণে ঠিকাদারের লোকজন এই সড়ক নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে অবহিত করেও কোনো সুফল হচ্ছে না। তিনি বলেন, ঈদের আগে গতকাল মঙ্গলবার ছিল দপ্তরের শেষ কর্মদিবস। এরপর প্রায় ৬-৭দিন ছুটি। আর সে সুযোগে ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের ইট-খোঁয়া দিয়ে কাজ শেষ করতে চাচ্ছেন।
আইয়ুব আলী নামের একজন মোল্লাপাড়া গ্রামবাসী বলেন, সড়কে কোনো খোঁয়া দিচ্ছে না। ভরাট মাটি ও পচাঁ ইটের রাবিশ মিশ্রিত কওে রাস্তায় ঢেলে দিচ্ছে। এতে করে কাজ শেষ হওয়ার আগেই সড়কে ভাঙ্গন শুরু হবে। আ আরো বলেন, সড়কের পাশে রিটানিং ওয়াল গুলোর কাজ আরো খারাপ হয়েছে। নির্মাণ শেষ হতে না হতে বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে যাচ্ছে। আর এ সকল কারণে গ্রামের লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।
ঠিকাদারের সাইড ফোরম্যান জাহিদ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঠিকাদার আমাদের যে উপকরণ সরবরাহ করছেন তা দিয়েই কাজ হচ্ছে। এ সময় এলাকার কিছু লোকজন এসে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রকৌশল বিভাগের লোকজন ছাড়া ছুটির দিনে কি ভাবে কাজ চলছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার অফিসের সাথে আমাদের চুক্তি আছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়াসিম এন্টার প্রাইজের কর্ণধর ওয়াসিমুল বারির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পুঠিয়ার উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খাঁন বলেন, অনিয়ম হওয়ায় সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর সড়কে যে মালামাল গুলো ব্যবহার করা হয়েছে তা তুলে নিতে বলা হয়েছে। দাপ্তরিক তদারকির গাফলতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজের সাইডে সব সময় আমাদের লোকজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী দায়িত্বে থাকেন। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।