ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় ফজলুল হক ওরফে খেতা শাহ নামে কথিত এক ফকিরের হাত ধরে উধাও হওয়া গৃহবধূকে প্রায় ১৯ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সকালে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (১১ জুলাই) গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও অধরা ভণ্ড ফকির খেতা শাহ।
অভিযুক্ত ফজলুল হক ওরফে খেতা শাহ (৬০) নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার হীরণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি আধ্যাত্মিক নেতা খেতা শাহ নামে পরিচিত। দেড় মাস আগে তার সঙ্গে জেলার তারাকান্দার শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়। পরে খেতা শাহকে আধ্যাত্মিক ফকির ভেবে তার ভক্ত বনে যান শফিকুল। সংসারের উন্নতি আর মনের বাসনা পূরণের ধারণা থেকে দুই চাচার পরামর্শে স্থানীয় মাজারে এনে আশ্রয় দেন নিজের বাড়িতে। এ সময় স্ত্রীকে বলেছিলেন ভালোভাবে আপ্যায়ন করতে। সবকিছুই ভালোই চলছিল। তবে গত ২২ জুন দুপুর ১২টার দিকে খেতা শাহকে নিয়ে শফিকুলের স্ত্রী তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় যাওয়ার কথা বলে লাপাত্তা হন দুজনই। পরে এ ঘটনার পর খেতা শাহর নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন শফিকুল ইসলাম। গত ২ জুলাই তার অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয় সংশ্লিষ্ট থানায়।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, সোমবার গৃহবধূকে উদ্ধারের সময় খেতা শাহকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। উদ্ধার হওয়া গৃহবধূ বর্তমানে আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আজ মঙ্গলবার জবানবন্দি দেওয়ার জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হবে।